অনির্বাণ দে, ডোমকল
২০১৪’তে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর নেতৃত্বে কেন্দ্রে আসীন হয়েছে বিজেপি সরকার। তারপর থেকে তৃণমূলের দুর্নীতি কমেনি, বরং বেড়েছে। বেপরোয়া হয়েছে তৃণমূল।
শুক্রবার ‘ইনসাফ যাত্রা’-র মাঝে মুর্শিদাবাদের ভাদুড়িয়া পাড়ায় জনসভায় এই বাস্তবতা মনে করিয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
তিনি বলেছেন, দুর্নীতি আসলে জনতার প্রাপ্য, জনতার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষ যখন একজোট হচ্ছেন ভাগাভাগিতে নামছে বিজেপি। তার বিরুদ্ধে ‘ইনসাফ’ বা ন্যায় চেয়ে চলছে এই পদযাত্রা। ৭ জানুয়ারি ব্রিগেডে সমাবেশের ডাক দিয়েছে ডিওয়াইএফআই। যুবদের ডাকে জনতার সমাবেশ হবে সেদিন।
সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি একেবারে পদযাত্রার পনেরো দিণে অভিজ্ঞতা বয়ান করেছেন। বলেছেন, ‘‘রাস্তার দু’পাশে মানুষ দেখছি পোশাক মলিন, চুল রুক্ষ, মুখ শুকনো। খালি গায়ে অপুষ্ট শিশুদের দেখছি। পুষ্টির অভাব স্পষ্ট।’’
তিনি বলেছেন, ‘‘এই মুর্শিদাবাদে সবচেয়ে বেশি পরিযায়ী শ্রমিক যান অন্য রাজ্যে। কারণ এ রাজ্যে কাজ নেই। তাঁদের রোজগারের অর্ধেক খরচও হয়ে যায় সেই রাজ্যেই।’’
মীনাক্ষী বলেছেন, ‘‘দেশ বেচছে যারা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। দেশ বিক্রি বনাম দেশ বাঁচানোর লড়াই। জাতীয় পতাকা সঙ্গী আমাদের পদযাত্রায়। দেশকে বাঁচাতে হবে। চা বিক্রি করতেন বলে যিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তিনি এখন রেল, ব্যাঙ্ক সব বেচছেন।’’
সেলিম বলেছেন, ‘‘ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ বন্ধক রাখা হচ্ছে, আইসিডিএস’র চাল চুরি হচ্ছে, মিড ডে মিল’র চাল চুরি হচ্ছে। আর তৃণমূলের মন্ত্রী, সাঙ্গোপাঙ্গদের থেকে লুটের কোটি কোটি টাকা বেরচ্ছে। কার টাকা? আমাকে-আপনাকে লুট করা টাকা। ডিজিটাল রেশন কার্ডের নামে দূরের দোকানে পাঠানো হচ্ছে। এক পরিবারকে আলাদা দোকানে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরি হচ্ছে। পুষ্টি লুট হচ্ছে।’’
টাকা নিয়ে শিক্ষকের চাকরি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘স্কুল শিক্ষকের চাকরি যোগ্যদের না দিয়ে টাকার বিনিময়ে বিক্রি হচ্ছে। স্কুল মাদ্রাসা, দু জায়গাতেই হচ্ছে। স্কুল আর মাদ্রাসাকে তাই ন্যায় চাইতে একসঙ্গে লড়তে হবে। ভাগাভাগির ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না।’’
ভাদুড়িয়া পাড়ার সমাবেশের পর ফের পদযাত্রা শুরু হয় ডোমকল হাসপাতাল মোড় থেকে। এরপর ডোমকল বাস স্ট্যান্ডে হয় সভা।
Comments :0