আইআইটি-বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ধর্ষণে জড়িতদের ছবি দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী, বিজেপি সভাপতির সঙ্গেও। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গেও এক অভিযুক্তের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায়।
দেশে নারী নির্যাতনে অভিযুক্তদের সবচেয়ে বড় রক্ষক বিজেপি। এই মর্মে বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদে শামিল হয়েছে বিভিন্ন অংশ।
বারাণসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সংসদীয় নির্বাচন কেন্দ্র। নভেম্বরের গোড়ায় আইআইটি-বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এক ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। বিক্ষোভ হলেও টানা দু’মাস কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
রবিবার উত্তর প্রদেশের বিরোধী নেতা সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ সিং যাদব তিনজনের ছবি প্রকাশ করেন সোশাল মিডিয়ায়। অভিযুক্ত কুনাল পাণ্ডে, আনন্দ চৌহান এবং সক্ষম প্যাটেলের নামও প্রকাশ করে দেন তিনি। অখিলেশ বলেন যে তিনজনই বিজেপি’র বিভিন্ন স্তরে পদাধিকারী।
অখিলেশের পোস্ট নিয়ে তুমুল শোরগোল ওঠে। কিছু পরে পুলিশ জানায় তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিজেপি জানায় ওই তিনজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য সুভাষিণী আলি বলেছেন, ‘‘বিজেপি’র হাত থেকে বোন মেয়েদের রক্ষা করুন। নতুন বছরে এটিই বার্তা।’’ উত্তর প্রদেশে সিপিআই(এম)’র এই নেত্রীর মন্তব্য, ‘‘এক ছাত্রীর গণধর্ষণ করে ভিডিও’তে ছবি তুলে রাখা হয়েছে। প্রত্যেকে বিজেপি’র আইটি সেলের সদস্য।’’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক অভিযুক্তের ছবি দেখিয়ে সুভাষিণী আলির মন্তব্য, ‘‘এক কথায় ভয়ঙ্কর! জেগে উঠুন।’’
একাধিক ছবিতে দেখা যাচ্ছে অভিযুক্তরা বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও রয়েছেন। একজনকে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সঙ্গেও। ওপরতলায় এদের যে ভালো দহমহরম ছিল, বুঝিয়ে দিয়েছে একাধিক ছবি।
সোমবার তীব্র আক্রমণ করেছে কংগ্রেসও। দলের উত্তর প্রদেশের নেত্রী ডলি শর্মা বলেছেন, ‘‘দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে এক ছাত্রীকে। সিসটিভি’তে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে অপরাধীদের মুখ। তারপরও দু’মাস তাদের আড়াল করা হয়েছে। বিজেপি বরাবরই নারী নির্যাতনের অপরাধীদের আড়াল করে।’’
কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি এবং বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছেন পদকজয়ী কুস্তিগিররা। মহিলা কুস্তিগিরদের টানা শ্লীলতাহানির অভিযোগে সরব থেকেছে দিল্লির পথঘাট। ব্রিজভূষণ এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছেন, বরং প্রতিবাদী সাক্ষী মালিক, বজরঙ পুনিয়া বা বীনেশ ফোগটদের টেনে হিঁচড়ে সরিয়েছিল পুলিশ।
বিভিন্ন অংশ সরব হয়েছে উত্তর প্রদেশে হাথরস থেকে উন্নাওয়ে অপরাধীদের আড়ালের চেষ্টায়। প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজেপি যোগ ধরা পড়েছে।
Comments :0