বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ’র জন্য দীর্ঘ আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তার চাপেই মুখ্যত বাজেটে ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে রাজ্য। কিন্তু বাস্তব হলো কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ’র হারের সঙ্গে রাজ্যের কর্মচারীদের ফারাক রইল ৩৫ শতাংশ বিন্দুর।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা এখন ৫৩ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন। রাজ্যের বাজেট ঘোষণার পর ডিএ বেড়ে দাঁড়ালো ১৮ শতাংশে। ফলে ৩৫ শতাংশের ফারাক রয়েই গিয়েছে।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ’র দাবিতে আন্দোলনের জন্য ধর্মঘটেও শামিল হতে হয়েছে। আবার আইনি লড়াইও চলেছে। রাজ্য সরকার আদালতে প্রাপ্য ডিএ ঠেকাতে এমনকি একথাও বলেছে যে এই অর্থ দিতে রাজ্য বাধ্য নয়। আবার বলা হয়েছে যে এই অর্থ দেওয়ার মতো আর্থিক সঙ্গতি রাজ্যের নেই।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সরকারের মেয়াদে যে বিপুল অগ্রগতির দাবি জানাচ্ছেন তার সঙ্গে অভাবের যুক্তি মিলছে না।
গত বাজেটে চলতি অর্থবর্ষ, ২০২৪-২৫’র জন্য চলতি মূল্যে ১৮.৮ লক্ষ কোটি টাকা রাজ্যের মোট উৎপাদনের অঙ্ক থাকবে বলে অনুমান করা হয়েছিল। মূল্যবৃদ্ধি হিসেবে না ধরে প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধির অনুমান যদিও প্রায় নাকচ হয়ে যায় জিনিসের দামকে হিসেবে ধরলে।
গত বাজেটে ৩ লক্ষ ৪ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা মোট খরচের লক্ষ্য জানিয়েছিল রাজ্য।
এবারের বাজেটে, নতুন অর্থবর্ষ, ২০২৫-২৬’র জন্য বলা হয়েছে ঘঅটালা মাস্টার প্ল্যানে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হবে। অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীদের মোবাইলের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হবে। বলা হয়েছে নদী ভাঙন রোধে নতুন প্রকল্প চালু করে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হবে।
পথশ্রী প্রকল্পে ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বিধানসভা ভোটের আগে আরও ১৬ লক্ষ পরিবারকে টাকা দেওয়ার ঘোষণা হয়েছে।
২০২৬’র বিধানসভা ভোটের আগে এটিই রাজ্যের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট।
WB BUDGET DA
বিপুল ফারাক রেখে মহার্ঘ ভাতা ৪% বৃদ্ধির ঘোষণা রাজ্য বাজেটে
×
Comments :0