Oppenheimer

এবার ওপেনহাইমার বয়কটের ডাক দক্ষিণপন্থীদের

জাতীয় আন্তর্জাতিক

হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত। এবার ‘বয়কট’ ট্রেন্ডের সম্মুখীন ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহাইমার’। 'ওপেনহেইমার'এর একটি দৃশ্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক। দৃশ্যে অভিনেতা কিলিয়ান মারফি অভিনীত নায়কের চরিত্রটি একটি ভগবৎ গীতার শ্লোক আবৃত্তি করতে করতে নায়িকার সাথে ঘনিষ্ঠ হয়।

দৃশ্যটি সোশ্যাল মিডিয়াতে বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। কেউ কেউ, বিশেষত দক্ষিণপন্থীরা দৃশ্যটি অপসারণের দাবি করেছে এবং অন্যরা নোলানের শৈল্পিক শৈল্পিক ছোঁয়াকে পছন্দ করেছে। #BoycottOppenheimer এবং #RespectHinduCulture-এর মত হ্যাশট্যাগগুলি ট্রেন্ডিং হয়েছে।


ভারতে বিরোধীদের মধ্যে রয়েছেন ভারত সরকারের তথ্য কমিশনার উদয় মাহুরকার, যিনি এই বিশেষ দৃশ্যের প্রতি তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং এটিকে সিনেমা থেকে সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। নোলানের কাছে একটি খোলা চিঠিতে, মহুরকার ঘটনাটিকে "হিন্দু ধর্মের উপর বিরক্তিকর আক্রমণ" হিসাবে উল্লেখ করেছেন।মাহুরকার সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনের এইরকম একটি দৃশ্য সহ সিনেমার অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এবং নোলানকে হিন্দু ধর্মের মর্যাদা বজায় রাখার অনুরোধ করেছিলেন।
পারমাণবিক বোমার জনক হিসাবে পরিচিত, ওপেনহাইমার সংস্কৃত শিখেছিলেন এবং ধর্মগ্রন্থ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। পারমাণবিক অস্ত্রের প্রথম বিস্ফোরণের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি ভগবত গীতার একটি শ্লোক উদ্ধৃত করেছিলেন - "আমিই মৃত্যু, বিশ্ব ধ্বংসকারী।"

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রেক্ষিতে ম্যানহাটান প্রজেক্ট, পরমাণু বোমার ফর্মুলা কিভাবে সোভিয়েতে পাচার হয়ে গেল, কে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তা নিয়ে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ক্রিস্টোফার নোলানের ছবি ‘ওপেনহাইমার’। রবার্ট ওপেনহাইমার কমিউনিস্ট দরদি ছিলেন এবং তার জন্য মার্কিন প্রশাসন দ্বারা তাকে হেনস্থার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন নোলান এই সিনেমায়।  ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করার সময় থেকেই বামপন্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তাঁর। কমিউনিস্ট পার্টির প্রতি সহানুভূতিশীলতার ফলশ্রুতিতে মার্কিন প্রশাসনের অন্যতম টার্গেট হয়ে উঠেছিলেন ওপেনহাইমার। " সোভিয়েতের চর " দেগে দেওয়া হয়েছিল তাকে। এফবিআইয়ের মানসিক নির্যাতন, নিগ্রহ থেকে রেহাই পাননি তার ভাই এবং স্ত্রীও। তারাও দুজনেই ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। নোলানের কৃতিত্ব এখানেই যে, নিছক পরমানু বোমা, যুদ্ধ, হিংসার মেলোড্রামা না বানিয়ে তিনি ব্যক্তি - সামাজিক - রাজনৈতিক আখ্যানকে সিনেমায় জায়গা দিয়েছেন।

Comments :0

Login to leave a comment