CPIM Rally Purulia

পঞ্চায়েতে গণপ্রতিরোধের আহ্বান বান্দোয়ানের সমাবেশে

রাজ্য জেলা

CPIM Rally Purulia ছবি: বান্দোয়ানের মাটিতে সন্ত্রাস তৈরির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সিপিআই (এম) এর সমাবেশ।


সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন বান্দোয়ানের মানুষ। সিপিআই (এম)’র ডাকে বান্দোয়ানের বাজার মোড়ে বিশাল সমাবেশের লাল ঝান্ডা নিয়ে আসা খেটে খাওয়া মানুষ জানিয়ে দিলেন, খুন করে রক্ত ঝরিয়ে কখনো সিপিআই(এম)’কে শেষ করা যায় না। 
এক সময় মাওবাদীরাও বান্দোয়ানের মাটিকে রক্তাক্ত করেছিল সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থকদের নির্মমভাবে খুন করে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের একবার বান্দোয়ানকে অশান্ত করতে চাইছে বর্তমান শাসক দল। তাই ডিওয়াইএফআই কর্মী, কৃষ্ণপদ টুডুর ওপর কিছুদিন আগেই প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়েছিল। প্রতিরোধ করে দুষ্কৃতীদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন গ্রামের মানুষজন। বান্দোয়ানের মানুষ যে সন্ত্রাস চান না তার প্রমাণ পাওয়া গেল রবিবারের বিকেলের জনসভায়। 


সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দেবলীনা হেমব্রম, রাজ্য কমিটির সদস্য সুদীপ সেনগুপ্ত , জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায়, পার্টিনেতা রথু সিং, সুশান্ত বেসরা, কৃষ্ণপদ টুডু প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন শক্তিপদ দাস। সমাবেশের আগে এক বিশাল মিছিল বান্দোয়ান শহর এলাকা পরিক্রমা করে।


দেবলীনা হেমব্রম বলেন, বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে আমরা মানুষের প্রয়োজনের বিভিন্ন নির্মাণ করেছি। আর এই তৃণমূল সরকার এসে শুধু নীল সাদা রং করেছে। বামফ্রন্ট সরকার ছিল মানুষের উন্নয়নের হাতিয়ার। আর এই সরকারের আমলে চুরিই হচ্ছে একমাত্র লক্ষ্য। জিনিসপত্রের দাম ক্রমশ বাড়ছে অথচ লক্ষ্মীর ভান্ডারে মাত্র ৫০০ টাকা দিয়ে মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে। তিনি সকল মানুষকে জোট বাঁধার আহ্বান জানান। 
হেমব্রমের আহ্বান, পঞ্চায়েতে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করতে হবে। কৃষ্ণপদ টুডুর মতো যদি আরও হামলা আসে সেই হামলার বিরুদ্ধে মানুষকে নিয়ে গণপ্রতিরোধ করে তুলতে হবে।
সুদীপ সেনগুপ্ত বলেন, সিপিআই(এম) স্লোগান তুলেছিল চোর ধরো জেল ভরো। কোন তৃণমূল বা বিজেপি নেতার নাম বলা হয়নি। কিন্তু ওরা নিজেদেরকে আজ চোর ভেবে নিয়েছে। তিনি বলেন তৃণমূল কয়লা, সোনা, বালি, চাকরি, গাছ সব কিছুই চুরি করে খেয়েছে। এবার চোরেদের সরাবার সময় এসেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবার হিসেব বুঝে নেবার পালা। দিদি দাদাকে সরিয়ে লাল ঝান্ডাকে আনতেই হবে। 


সেনগুপ্ত বলেন, চাকরি পেয়েছে নেতা-মন্ত্রীদের আত্মীয়রা। আর পুরনো তৃণমূলীরা এখন সিভিক ভলান্টিয়ার হয়েছে। রাজ্যের পুলিশ এখন আর মানুষের রক্ষক নয়, তারা এখন তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের রক্ষক। 
প্রদীপ রায় বলেন, জেলার কুড়িটি ব্লক এবং তিনটি পৌরসভা এলাকাতে মানুষ লাল ঝাণ্ডার পতাকার তলে শামিল হচ্ছেন। মানুষ বুঝতে পেরেছেন সব কিছুই। বুঝতে পারছেন কে তাঁদের বন্ধু কে তাঁদের শত্রু। কোন সরকার কেমন কাজ করে তা এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। তিনি বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অনুপ্রেরণা দিয়ে জেলা সফরে এসে অনেক কিছুই বলে যান কিন্তু বান্দোয়ান থেকে যায় উপেক্ষিত। 


ডিওয়াইএফ আই নেতা কৃষ্ণপদ টুডু বলেন বান্দোয়ানের মাটি বামপন্থীদের রক্তে ভেজা মাটি। রক্ত ঝরিয়ে কখনো  লাল ঝাণ্ডার পার্টিকে শেষ করা যায় না। যতই হামলা আসুক এক ইঞ্চি জমিও ছেড়ে দেওয়া হবে না। পিছন থেকে গুলি চালিয়ে শেষ করা যাবে না সিপিআই(এম)কে। শক্ত করে ঝান্ডা ধরে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ছবি: বান্দোয়ানের মাটিতে সন্ত্রাস তৈরির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সিপিআই (এম) এর সমাবেশ।
 

Comments :0

Login to leave a comment