ত্রাণের সারিতে গুলির প্রতিবাদ ধ্বনিত হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। দক্ষিণ পশ্চিম গাজার আল রাশিদ স্ট্রিটে ত্রাণের জন্য ছুটে আসা মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে ইজরায়েলের সেনা। নিহত অন্তত ১১২, আহত সাড়ে ৭শো ছাড়িয়ে। নির্বিকার ইজরায়েল শুক্রবারই হামলা চালিয়েছে বসত এলাকায়।
গাজায় হত্যাকাণ্ডের কড়া নিন্দা করেছে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে আফ্রিকা, ব্রাজিল এবং আরব দেশগুলির সঙ্গে সমন্বয় করে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য চেষ্টা করতে হবে ভারত সরকারকে।
শুক্রবার পর্যন্ত প্যালেস্তাইনের সরকারি স্তর থেকে ৩০ হাজার ২২ জনের মৃত্যুর তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গাজায় ত্রাণ সংগ্রহের জন্য দীর্ঘ সারিতে ছিলেন প্যালেস্তিনীরা। খাদ্য নেই, জলও নেই। শিশুরা খাবার পাচ্ছে না। ত্রাণের জন্য ছুটতে থাকা মানুষের ওপর গুলি চালায় ইজরায়েলের সেনা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রায় নেই গাজায়। জীবনে প্রয়োজনীয় সব সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
ইজরায়েলের সেনা ত্রাণের জন্য ছুটতে থাকা মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছে কয়েকদিন আগেও। রাষ্ট্রসঙ্ঘ পর্যন্ত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ গাজায় দুর্ভিক্ষের থেকে ঠিক এক পা দূরে। খাদ্যের সরবরাহে যেভাবে আক্রমণ হচ্ছে গাজায় ঠেকানো যাবে না দুর্ভিক্ষ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদতে চলা ইজরায়েল যদিও বেপরোয়া। শুক্রবার গাজার দক্ষিণে মিশর সীমান্তে রাফায় যে বাড়িতে সেনা গুলি চালিয়েছে সেখানে ছিলেন উদ্বাস্তু প্যালেস্তিনীয়রা। ৭ অক্টোবরের পর থেকে শুরু হামলায় গাজার উত্তরে প্রথমে ধাপে হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল। নাগরিকদের বলেছিল দক্ষিণে চলে যেতে। উত্তর থেকে সন্ত্রাসবাদীদের ধরার ঘোষণা করেছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। উত্তর অংশে মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন দক্ষিণে। এখন সেখানেই উদ্বাস্তু মানুষের বসতিতে চলছে আক্রমণ।
বৃহস্পতিবারের গুলিচালনায় সরব হয়েছে ব্রাজিল। ব্রাজিল বলেছে, ইজরায়েলের সেনা কোনও আইন মানে না, কোনও নৈতিকতার পরোয়া করে না। ইজরায়েলের বরাবরের সমর্থক ইউরোপিয়ান কমিশনের সভাপতি উরসুলা ফন ডের লিয়েন মৃদু স্বরে বলেছেন ‘ঘটনা উদ্বেগজনক’। জার্মান বিদেশমন্ত্রকও উদ্বেগ জানিয়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকও মৃদু স্বরে খেদ জানিয়েছে।
GAZA FIRING POLIT BUREAU
গাজায় ত্রাণের সারিতে গুলিতে প্রতিবাদ পলিট ব্যুরোর, ক্ষোভ বিশ্বে
×
Comments :0