শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পাশ করে ছিলেন ওয়েটিং লিস্টে। বাড়িতে পৌঁছেছিল চাকরি বিক্রির দালাল। মাইক্রোফিন্যান্স সংস্থার থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে দিয়েছিলেন দালালকে। ছয় বছরে চাকরি হয়নি। দেনায় সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছিলেন তপন দলুই। শেষ পর্যন্ত আত্মঘাতী হলেন আঠাশ বছরের এই যুবক।
চাকরি বিক্রির জাল কতটা ভয়ঙ্কর চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুরে দাসপুরের তপন দলুইয়ের আত্মহত্যা। দুয়ারে দালালের এই ঘটনায় আবার বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম জড়িয়েছে বলে অভিযোগ। দালাল নিজেকে শুভেন্দুর এজেন্ট বলে পরিচয় দিয়েছিল। সেই সময়ে শুভেন্দু ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী। সংবাদমাধ্যমেই এই অভিযোগ করেছে আত্মঘাতী যুবকের পরিবার।
২০১৬’র এসএসসি’তে নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় পাস করেছিলেন তপন। অভিযোগ, দালাল তাঁকে বলেন ‘দাদা’ অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারিকে ৫ লক্ষ টাকা দিলেই মিলবে চাকরি। সেই ফাঁদে পা দিনমজুর পরিবারের যুবক। মাইক্রো ফিনান্সের জালে আটকেও পাঁচ লক্ষ টাকা হলদিয়ায় দিয়ে আসেন। ছয় বছর পেরিয়েছে চাকরি হয়নি।
কাঁথিতে অভিষেক ব্যানার্জি, ডায়মন্ডহারবারে শুভেন্দু অধিকারী। দু’জনের সভা নিয়েই সরগরম মিডিয়া। ঘটনা দেখাচ্ছে দুর্নীতির সঙ্গে জুড়ে রয়েছে তৃণমূল-বিজেপি দুই দলই।
পরিবারের অভিযোগ, কেশপুর থানার বিশ্বনাথপুরের এক ব্যক্তি নিজেকে শুভেন্দু অধিকারীর এজেন্ট বলে পরিচয় দেন। সেই ব্যক্তিই তপন দলুইকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন হলদিয়াতে শুভেন্দু অধিকারির দপ্তরে ৫লক্ষ টাকা জমা দিতে। মেদিনীপুর হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে সরাসরি সাংবাদিকদের সামনেই এমন বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন মৃত তপন দলুইয়ের দাদা সুকুমার দলুই।
Comments :0