অন্তত দু’শো মানুষ বিবস্ত্র। রাখা হয়েছে গাদাগাদি করে। পাশেই অস্ত্র উঁচিয়ে সেনা।
উত্তর গাজার জাবালিয়া ক্যাম্পের কাছে এই ছবি ধরা পড়েছে আমেরিকারই সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। যে আমেরিকা অবিরত মদত দিয়ে চলেছে ইজরায়েলকে।
ইজরায়েলের সেনা শুধু বোমা ফেলে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে না বসতি। কেবলই জনতাকে বাধ্য করা হচ্ছে না এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যেতে। কেবলই
প্যালেস্তিনীয়দের তাড়িয়ে বেড়ানো হচ্ছে না। গাজার বাসিন্দাদের ওপর অমানুষিক নিপীড়নও চলছে রোজ। এমনই ভাষ্য স্থানীয়দের।
আমেরিকার সংবাদমাধ্যমেই নিপীড়তেরা বলেছেন, তাঁদের হুমকি দিয়ে জাবালিয়া ত্রাণ শিবির ছাড়তে বলা হয়। তাঁরা জাবালিয়া থেকে অন্য কোনও আশ্রয়ের খোঁজে যাচ্ছিলেন। মহিলাদের মালপত্র নিয়ে একলা চলে যেতে বলা হয়। আটকে রাখা হয় পুরুষদের। বিবস্ত্র হতে বাধ্য করা হয় তাঁদের। কেবল অন্তর্বাস ছিল পরনে। এর মধ্যে ছিলেন কিশোর থেকে যুব এমনকি বৃদ্ধেরাও।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, টানা আট ঘন্টা একফোঁটা জল পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। আহতদের জন্য বিন্দুমাত্র সমবেদনা দেখা যায়নি।
মানবিক বোধের চরম বিপর্যয় গাজায় এখন নতুন নয়। এক নির্যাতিত জানিয়েছেন বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে অন্য শিশুরা বেরিয়ে গিয়েছিল। তাঁর সঙ্গে ছিল শিশুকন্যা। তাঁকে অন্তর্বাস পরে থাকতে হয়েছে শিশুকন্যার সামনে। আর সেই শিশু খাদ্য-জল ছাড়া তাঁর সঙ্গেই রাস্তায় থাকতে বাধ্য হয়েছে।
GAZA FORCED TO UNDERSS
বিবস্ত্র করে খোলা রাস্তায় আটকে রাখা হচ্ছে গাজার নাগরিকদের
×
Comments :0