'DHAKI' JALPAIGURI

অনুদান বাড়লেও মজুরি বাড়ে না, আসামের পথে জলপাইগুড়ির ঢাকিরা

জেলা

DHAKI JALPAIGURI বাড়তি আয়ের আশায় আসামে চলে যাচ্ছেন এই ঢাকিরা।

দীপশুভ্র সান্যাল

শারদীয়া উৎসবের খরচ জৌলুস বাড়লেও বাড়েনি সাবেকি পুজোর আয়োজনের খরচ। থিম পুজোর ঝোঁকের কারণে প্যান্ডেল, সাউন্ড,আলোর বাজেট বরাদ্দ বাড়লেও বাড়েনি ঢাকিদের মজুরি। মুখ্যমন্ত্রী গত ক’বছরে পুজোর অনুদান কয়েকগুণ বাড়িয়েছেন। কিন্তু বাড়তি রোজগারের চেষ্টায় জলপাইগুড়ির ঢাকিদের চলে যেতে হচ্ছে আসামে।

ঢাকিদের কথায়, আসামে বাজার তুলনায় ভালো। জেলায় তেমনভাবে ঢাকিদের কদর বা চাহিদা নেই। বাধ্য হয়ে ভিন্ন রাজ্যেই এ বছর যাচ্ছে জলপাইগুড়ির ঢাকির দল। সারা বছর কেউ ব্যান্ড পার্টিতে বাজনা বাজান আবার কেউ অন্য পেশায় যুক্ত থেকে সংসার চালান। শারদীয়া উৎসব আসন্ন। তাই এখন বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে দুর্গা পুজোর খুঁটি পুজো হয়ে গেছে। চলছে প্যান্ডেল তৈরির কাজও। 

এখন বেশিরভাগ পুজো কমিটি থিমের পুজোতেই ব্যস্ত। তাই ঢাকিদের তেমন কদর নেই এখন। এমনটাই জানালেন ঢাকি সন্তু দাস,গৌতম হাজরারা। এখন এক একটি দলকে আসামে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা দেয়। জলপাইগুড়িতে সেই দলগুলোকে  মাত্র ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা দেয় বারোয়ারি পুজো কমিটিগুলি। সারা বছর ব্যান্ড পার্টিতে কাজ করে অন্যান্য অনুষ্ঠানে পুজোতে ঢাক বাজিয়ে সামান্য রোজগার হয় তাঁদের। পুজোর কটা দিন পরিবার ছেড়ে মণ্ডপে ঢাক বাজিয়ে যদি দুটো পয়সা বেশি রোজগার না হয়, তাহলে সারা বছর চলা দায়।

করোনা মহামারীর সময় গত দু’বছর রোজগার ছিল না বললেই চলে। তাদের অভিযোগ সরকার পুজো কমিটি গুলিকে অনুদানের পরিমাণ বাড়ালেও সেই অর্থ পৌঁছাচ্ছে না ঢাকিদের কাছে। রোজগার প্রতি বছর কমতে থাকায় নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছে না। 

Comments :0

Login to leave a comment