CPIM MD MASIDUR RAHMAN

শংসাপত্রের জন্য ঘুরছেন বিশেষভাবে সক্ষম প্রার্থী মাসিদুর

জেলা

মালদহ সদর এসডিও দপ্তরে মাসিদুর রহমান।

চলতে হয় হামাগুড়ি দিয়ে। দুই পা অসাড়। বিশেষভাবে সক্ষম যুবক প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়েই স্বনির্ভর। পঞ্চায়েতে প্রার্থী হয়েছেন সাহস করে। সিপিআই(এম)র প্রার্থী মহম্মদ মাসিদুর রহমান। কিন্তু বারবার ঘুরেও কাস্ট সার্টিফিকেটপাচ্ছেন না মাসিদুর।

স্ক্রটিনির পর্ব শেষ হওয়ার আগেই জমা দিতে হবে জাত শংসাপত্র। নির্বাচন কমিশনের সূচি অনুযায়ী শনিবারের মধ্যেই জমা দিতে হবে এই নথি। 

শুক্রবার মাসিদুর রহমানকে দেখা গিয়েছে ব্লক দপ্তরে। তিনি বলছেন, ‘‘বারবার আবেদন জানিয়েও পাচ্ছি না। আমাকে ঘোরানো হচ্ছে। এখন বলা হচ্ছে সন্ধ্যার সময় পাওয়া যাবে। যতক্ষণ না পাচ্ছি নিশ্চিন্ত হতে পারছি না।’’

 

সিপিআই(এম)র ফেসবুক পেজেও দেওয়া হয়েছে মাসিদুর রহমানের কাহিনী। অদম্য লড়াইয়ের কথা ফুটে উঠছে ভিডিও-তে। গৃহশিক্ষকতা করেন এই যুবক। কালিয়াচক-১ ব্লকের সুজাপুর বিধানসভা কেন্দ্রের গয়েশবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিআই(এম)র প্রার্থী তিনি। 

প্রার্থীপদের মনোনয়ন পর্ব শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন। সন্ত্রাসের আবহে ৫০টি ব্লক এলাকায় প্রার্থী দিতে না দেওয়ায় সরব হয়েছেন বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। মনোনয়নের শেষ দিনেই প্রতিনিধিদল নিয়ে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার সঙ্গে দেখাও করেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। 

এর মধ্যে অভিযোগ উঠেছে মনোনয়ন পর্বে বিপুল কারচুপির। নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থানেই তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। অন্তর্দ্বন্দ্ব ভয়াবহ অবস্থার কারণে তৃণমূল মনোনয়নের শেষ দুদিনে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছে। কিন্তু মনোনয়ন জমা প্রক্রিয়ার জন্য যথেষ্ট সময় দরকার। সেখানে একদিনে বরাদ্দ চারঘন্টায় চল্লিশ হাজারের বেশি মনোনয়ন জমা হলো কী করে। সেলিমের অভিযোগ, বিধি ভেঙে গুচ্ছ গুচ্ছ মনোনয়ন পত্র জমা করা হয়েছে ঘুরপথে।

এই আবহেই মহম্মদ মাসিদুর রহমানের অভিযোগ বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। বিশেষভাবে সক্ষম হওয়ার জন্যই তাঁকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা। উলটে তিনি ঘুরে চলেছেন শংসাপত্র পেতে।

শুক্রবার দুপুরে তিনি বলেছেন, ‘‘এসডিও দপ্তর থেকে জানানো হলো যে কাজ চলছে। কিন্তু আমি আবেদন জানিয়েছি ১২ জুন। তারপর তিনদিন আমাকে ঘোরানো হয়েছে। বৃহস্পতিবারও বলা হয়েছিল হয়ে যাবে তা হয়নি।

মাসিদুরের অভিযোগ, ‘‘গোড়ায় এসডিও দপ্তর অস্বীকার করেছে যে ব্লক থেকে আমার আবেদন পাঠানো হয়ে গিয়েছে। আমিই ফাইল খুলিয়ে সেই কাগজ বের করাই।’’ 

মালদহ সদর এসডিও দপ্তরে প্রায় ধরনায় বসে থাকা মাসিদুর রহমান বামপন্থী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন কলেজেই। তখন এসএফআই করতেন। পরে লাল ঝান্ডার কর্মী হয়েছেন। লড়াই চালাচ্ছেন জীবনের, রাজনীতিরও।

 

Comments :0

Login to leave a comment