Dinhata Shootout

দিনহাটায় গুলিবিদ্ধ কিশোর

জেলা

Dinhata Shootout



দিনহাটায় গুলিবিদ্ধ হলো এগারো বছরের এক কিশোর। রবিবার বিকেলে ঘটনা ঘটেছে দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের গোবরাছড়া- নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ নম্বর আটিয়াবাড়ী এলাকায়। গুলিবিদ্ধ ওই কিশোরের নাম মেহেদী হাসান। পুলিশ জানিয়েছে, তার বাবার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রের ছোরা গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় ওই কিশোর। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পরেই পুলিশের এসডিপিও ত্রিদিব সরকার, সাহেবগঞ্জ থানার ওসি সহ এক বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনার স্থলে পৌছায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করে। কিভাবে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ওই ব্যক্তির কাছে এলো তা নিয়েও তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে ওই ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে ওই কিশোর মেহেদী হাসান বাড়িতেই ছিল। হঠাৎ বাড়ির বাইরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে দেখতে পায় প্রতিবেশীরা। ওই অবস্থায় তাকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি অবনতি হওয়াতে তাকে কোচবিহার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ জানিয়েছেন, ওই কিশোরের বাবা মেহবুব আলমের ছোড়া গুলিতে মেহেদী হাসান নামে ওই কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়েছে। প্রতিবেশীরা তাকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। এখানে পরিস্থিতির অবনতি হলে তাকে কোচবিহার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের আগের থেকেই দিনহাটার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক পরিমাণে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের আমদানি করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এমনটাই সাধারণ মানুষের অভিযোগ। পঞ্চায়েত ভোটের আগের থেকে এবং পঞ্চায়েত ভোটের দিনেও রাজনৈতিক হিংসায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বহু মানুষ। তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী বামপন্থী কর্মীদের ওপর নানাভাবে হামলা চালায়। মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীদের হাতে রয়েছে। কিন্তু সেই আগ্নেয়াস্ত্র পুরোপুরি উদ্ধার করতে ব্যর্থ পুলিশ এমনটাই সাধারণ মানুষের অভিযোগ। মেহেদী হাসানের বাবা মেহবুব আলমের চালানো যে আগ্নেয়াস্ত্রে তার ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ সেটি কোথা থেকে আমদানি করা হয়েছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ। তবে পুলিশ এখনো পর্যন্ত অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করতে পারেনি। 

 

Comments :0

Login to leave a comment