Uttrakhand Tunnel Collapse

শুরু হলো না ধস কাটার কাজ, ক্ষোভ আটকে থাকা শ্রমিকদের পরিবারে

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ত ভোট প্রচারে। রাজস্থানে শনিবারই জনতাকে জিজ্ঞেস করেছেন, ভারত এখন দুনিয়ার তিন নম্বর, ‘হ্যায় কি নেহি’। ওদিকে প্রায় ৭ দিন তাঁর সাধের নির্মীয়মাণ চার ধাম রোডের ভেঙে পড়া সুড়ঙ্গে আটকে  ৪০ শ্রমিক। 
যত সময় পেরোচ্ছে, শ্রমিকদের প্রাণ নিয়ে সংশয় ততই বাড়ছে। শুক্রবার থেকে ধস খুঁড়ে বের করার কাজ পুরোপুরি বন্ধ। ড্রিলিং মেশিনে গন্ডগোল দেখা দিয়েছে। শনিবার উত্তরকাশীর এই সুড়ঙ্গের সামনে অপেক্ষা চলছে নতুন মেশিনের। ইন্দোর থেকে দুপুরের আগে মেশিন পৌঁছাবে না। 
গত রবিবার ভোরে ধস নামে সুড়ঙ্গে। প্রায় ৭ দিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক আধিকারিক এসে পৌঁছেছেন ঘটনাস্থলে। উদ্ধারের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা যদিও শনিবার দাবি করেছেন ‘আমেরিকান অগার’ মেশিনে গোলমালে কারণে কাজ বন্ধ হয়নি। শুক্রবার আচমকাই ভেঙে পড়ার আওয়াজ শোনা যায় সুড়ঙ্গের মধ্যে। গত মঙ্গলবারও এমন হওয়ার পর নতুন করে ধস নেমেছিল। ফলে শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। সে কারণে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। 
প্রশ্ন উঠছে আমেরিকান অগার মেশিন ঠিক থাকলে ইন্দোর থেকে নতুন মেশিন আনতে হচ্ছে কেন। এই নিয়ে সুড়ঙ্গের ধস কেটে পাইপ ঢোকানোর কাজে দু-দু’টি মেশিনে গণ্ডগোল ধরা পড়ল। 
শনিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ওডিশা শ্রম দপ্তরের এক আধিকারিক। রাজ্যের ৫ শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। ঝাড়খন্ডও আগেই প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল। ৪০ শ্রমিকের মধ্যে রয়েছেন বাংলার তিন শ্রমিকও। 
বৃহস্পতিবার সকালে পুরোনো ড্রিলিং মেশিন খারাপ হওয়ার পর নিয়ে আসা হয়েছিল আমেরিকান অগার মেশিনটি। এখনও ধসে ২৪ মিটার পর্যন্ত ড্রিল করা সম্ভব হয়েছে বলে জানাচ্ছে জাতীয় সড়ক এবং পরিকাঠামো নির্মাণ সংস্থা এনএইচআইডিসিএল। 

শ্রমিকদের পরিবারের কেউ কেউ সুড়ঙ্গের কাছে আসছেন। ক্ষোভ বাড়ছে তাঁদের। ক্ষোভ বাড়ছে সুড়ঙ্গের কাজে নিযুক্ত অন্য শ্রমিকদেরও। 

Comments :0

Login to leave a comment