Attack on ED

সন্দেশখালির তৃণমূল নেতার বাড়িতে আক্রান্ত ইডি'র আধিকারিকরা

রাজ্য

 

সাত সকালেই প্রাক্তন খাদ্যমত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অতি ঘনিষ্ঠ সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শাজাহান সেখের বাড়িতে ইডি হানা। বছরের শুরুতেই  শুক্রবার রেশন দুর্নীতি কান্ডে নিয়ে তৎপর হয় ইডি। বনগাঁ সন্দেশখালিত একযোগে তল্লাশিতে নামে এবং সকাল ৭টা নাগাদ পৌঁছে যায় ঘটনা স্থলে। দীর্ঘসময় ডাকাডাকি করে বাড়ির কারোরো সাড়া না পেয়ে ভিতর থেকে লাগানো তালা ভেঙে শাজাহান সেখের বাড়িতে ঢুকতে গেলে সেখানে শ'য়ে শ'য়ে তৃণমূল কর্মী সশস্ত্র জড়ো হয়। ইডি আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়।

 

 

এরপর উত্তেজনা তৈরী হলে ইডির আধিকারিকদের উপর চড়াও হয় শাজাহান বাহিনী। মারাত্মকভাবে আক্রান্ত ও রক্তাক্ত হয় সংবাদমাধ্যম, ইডির আধিকারিকরা। সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা এই মূহুর্তে হাসপাতালে ভর্তি। তাদের ক্যামেরা ভেঙে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় ইডির গাড়ি। এমনকী দু’জন ইডি আধিকারিকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইডি অফিসার সোমনাথ দত্ত রাজকুমার রায় গুরুতর আহত। তাদের মাথায় আঘাত। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি কোনক্রমে প্রাণে বাঁচতে ইডি অধিকার ও সি আর পি এর জওয়ানরা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়। প্রশ্ন উঠছে ইডি আধিকারীকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাওয়ার হাতে গোনা কয়েক মিনিটের মধ্যে শ'য়ে শ'য়ে তৃণমূল কর্মী সেখানে হাজির হলো কী ভাবে। তবে কী ইডি অভিযান হতে পারে ধরে নিয়ে জেলা পরিষদের প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ শাজাহান সেখ আগে থেকে দলীয় কর্মীদের জড়ো করে রেখেছিলেন ? পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। 

এদিন সকালে রেশন দুর্নীতির তদন্তে জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যর বাড়ি তার শ্বশুরবাড়ি বাড়ি কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আরও একটি দল সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে পৌঁছয়।

শঙ্কর আঢ্যর দুই কর্মী এবং তার ভাইয়ের আইসক্রিম কলেও হানা দেন ইডির আধিকারিকেরা। সেখানে ইডির আধিকারিকেরা নথিপত্র খতিয়ে দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলে জানা যাচ্ছে। নামে বেনামে বহু সম্পত্তির মালিক শঙ্কর আঢ্য। তার স্ত্রী বনগাঁ পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান।

 

শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

 

জানা গেছে শঙ্কর আঢ্যর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্যও কাউন্সিলর ছিলেন। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে তাঁদের ঘনিষ্ঠতা ছিল। কিছুদিন আগেই তাঁকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু হাজিরা এড়িয়ে যান তৃণমূল নেতা। বনগাঁ পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তথা এলাকায় তৃণমূলের দাপুটে নেতা শঙ্কর আঢ্য এবং জেলা পরিষদের প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ শাজাহান সেখ প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে। 

এই মুহূর্তে ধামাখালি থেকে বাসন্তী হাইরোড ধরে মালঞ্চ পর্যন্ত তৃণমূলীদের দখলে। মানুষ বাড়ি ফিরতে পারছে না। হাজার প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পছন্দ না হলে মারতে মারতে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কার্যত গোটা সন্দেশখালি মিনাখাঁর বিস্তীর্ণ অঞ্চল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দখলে। পুলিশ ঠুঁটো জগন্নাথ। প্রয়োজন মিটিয়ে বা প্রয়োজন মেটাতে কেউ গ্রামে ঢুকতে পারছে না বা তাদেরকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

 

Comments :0

Login to leave a comment