জমিসংক্রান্ত বিবাদের জেরে একই পরিবারের ছয় সদস্যকে খুনের অভিযোগ। নিহতদের মধ্যে অভিযুক্তের মা, ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী ও সন্তানরা রয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘেটেছ হরিয়ানার নারায়ণগড়ের রাতোর গ্রামে। অভিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মী এবং ওই পরিবারের সদস্য। ধারালো অস্ত্র দিয়ে পরিবারের অনান্য সদস্যদের খুনের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তর নাম ভূষণ কুমার। তিনি তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে খুন করেছে এবং তার বাবাকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুড়াল দিয়ে খুনের চেষ্টা করেছে। দেহগুলি বাড়িতে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান দুই ভাইয়ের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের এই ঘটনা। নিহতরা হলেন কুমারের মা সরূপী দেবী (৬৫), ভাই হরিশ কুমার (৩৫), তাঁর স্ত্রী সোনিয়া (৩২), ভাইয়ের তিন সন্তান, পরী(৭), ইয়াশিকা(৫) এবং ছয় মাসের শিশু মায়াঙ্ক। অভিযুক্তের বাবা ওম প্রকাশ নারায়ণগড়ের সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করায় গুরুতর আহত হন। তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে পুলিশকে খবর দিলে অভিযুক্ত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আম্বালার এসপি সুরেন্দ্র কুমার।
এসএইচও নারায়ণগড়, ইন্সপেক্টর রামপাল জানান, এই ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার সগে যুক্তকে ধরতে পুলিশের টিম গঠন করা হয়েছে। এই দলগুলি বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশ অভিযুক্তকের ঘনিষ্ঠদের দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে।
আম্বালা ক্যান্টনমেন্ট সিভিল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মুকেশ কুমার জানান, সোমবার সকাল ৭টার দিকে পুলিশ আংশিক দগ্ধ পাঁচটি দেহ নিয়ে আসে। তিনি জানান, তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গেছে। আম্বালা ক্যান্টনমেন্ট সিভিল হাসপাতালে পাঁচজনের দেহ ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, জমি সংক্রান্ত পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এই হত্যা কান্ডের তদন্ত শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা।
Ambala
হরিয়ানায় খুন একই পরিবারের ছয় সদস্য
×
Comments :0