সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলায় বিবৃতি দিলেন রাজ্যপাল। সিভি আনন্দ বোস অডিও বার্তায় ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন রাজ্য সরকারকে। হামলাকারীকে এবং তাদের রাজনৈতিক প্রভুদের আড়াল করার জন্য দায়ী করেছেন পুলিশকে। রাজভবনে তলব করা হয়েছে মুখ্য সচবি, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং পুলিশের ডিজি-কে।
সেই সঙ্গে রাজ্যপালের বার্তা, সমাজে হিংসা বন্ধ করার দায়িত্ব সরকারের। সরকার ব্যবস্থা না নিলে সংবিধান নিজের পথে চলবে। জঙ্গলরাজ এবং গুণ্ডাগিরি অবাধে চলবে। সরকারকে নিজের দায়িত্ব নিতে হবে। এই হিংসা দ্রুত বন্ধ করতে হবে। এমন হিংসার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবেই সরকারের।
শুক্রবার সকালে সন্দেশখালিতে তল্লাশিতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। আক্রান্ত হয় সংবাদমাধ্যমও। রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশিতেও গিয়েছিল ইডি। ইডি আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গেলেও হামলা থেকে বাঁচতে পারেননি। সন্দেশখালিতে শাজাহান সেখের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। বনগাঁ সন্দেশখালিত একযোগে তল্লাশিতে নামে। শাজাহান সেখের বাড়িতে ঢুকতে গেলে সেখানে শ'য়ে শ'য়ে তৃণমূল কর্মী সশস্ত্র অবস্থায় জড়ো হয়। ইডি আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর উত্তেজনা তৈরী হলে ইডির আধিকারিকদের উপর চড়াও হয় শাজাহান বাহিনী। মারাত্মকভাবে আক্রান্ত ও রক্তাক্ত হয় সংবাদমাধ্যম, ইডির আধিকারিকরা। সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও হাসপাতালে ভর্তি।
প্রশ্ন উঠছে ইডি আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাওয়ার হাতে গোনা কয়েক মিনিটের মধ্যে শ'য়ে শ'য়ে তৃণমূল কর্মী সেখানে হাজির হলো কী ভাবে। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
এদিন সকালে রেশন দুর্নীতির তদন্তে জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যর বাড়ি তার শ্বশুরবাড়ি বাড়ি কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালায়।
হামলার নিন্দা করেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীও।
এদিন রাজ্যপালের বিবৃতির আগে কড়া মন্তব্য করে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির এজলাসে একটি মামলার শুনানিতে ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার প্রসঙ্গ ওঠে। বিচারপতি বিস্ময়ের সুরে বলেন, সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়লে রাজ্যপাল কী করছেন!
কিছু পরে বিবৃতি দেন আনন্দ বোস।
ANANDA BOSE SANDESHKHALI
ইডি’র ওপর হামলায় সরকার, পুলিশের নিন্দা রাজ্যপালের
×
Comments :0