MD SALIM on SHAH

দাঙ্গার মদতদাতারা রবীন্দ্রনাথকে
শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন কিভাবে, প্রশ্ন সেলিমের

রাজ্য

MD SALIM on SHAH মঙ্গলবার শ্যামপুকুর স্ট্রিটে সমরেশ বসুর মরদেহে মালা দিচ্ছেন বিমান নসু।

রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানানোর অধিকার নেই দাঙ্গাবাজদের। রবীন্দ্রনাথ ধর্মীয় বিভাজনে মদতদাতাদের থেকে মুখ ঘুরিয়ে থেকেছেন। বিজেপি এবং আরএসএস এখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছে। 

মঙ্গলবার সংবদামাধ্যমের প্রশ্নে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের জোড়াসাঁকো ভ্রমণ প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এদিন প্রয়াত সাহিত্যিক সমরেশ বসুর বাসভবনে শ্রদ্ধা জানাতে যান সেলিম। ছিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবীন দেবও। সেখানেই সংবাদমাধ্যম তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানতে চায়। 

রবীন্দ্রনাথকে ব্যবহার করে বাঙালি স্বাতন্ত্র্যবাদ তৈরির প্রয়াসেরও বিরোধিতা করেছেন বিমান বসু। তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সে প্রয়াস করছেন। বসু বলেছেন, বিশ্বের কাছেই রবীন্দ্রনাথ গুরুত্বপূর্ণ। কোন একটি রাজ্য বা ভাষায় আবদ্ধ করা যায় না তাঁকে। 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ জোড়াসাঁকো ঘুরে গিয়েছে পেট্রাপোল সীমান্তে। ভাষণ দিয়েছেন সেখানে। 

এই প্রসঙ্গেই সেলিম মনে করিয়েছেন রবীন্দ্রনাথের লেখা পংক্তি। ‘ধর্মের বেশে মোহ এসে যারে ধরে, অন্ধ সে জন মারে আর শুধু মরে।’ তিনি বলেছেন, ‘‘বিজেপি এবং আরএসএস’র কর্মকাণ্ড ধর্মের মোহ তৈরি করা। এর আগে নেতাজীকে আত্মসাৎ করার চেষ্টা করেছিল পারেনি। ভগৎ সিংকে নিয়েও সেই চেষ্টা হয়েছে। এবার রবীন্দ্রনাথকে আত্মসাৎ করার চেষ্টা হচ্ছে।’’ 

অমিত শাহ দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হয়েও রাজ্যে রাজ্যে ভোট প্রচারে দাঙ্গার স্মৃতিকে উসকে ভোট চেয়েছেন। উত্তর প্রদেশের নির্বাচনে প্রকাশ্যে মুসলিম-জাঠ হিংসার স্মৃতি উসকেছেন। গুজরাটে সরাসরি অমানবিক মুসলিম গণহত্যাকে বলেছেন ‘উচিত শিক্ষা’। বিরোধীদের ‘ভোট ব্যাঙ্ক’ রাজনীতির কলাকুশলী বলে চলেছেন। অতি সম্প্রতি কর্ণাটকেও দাঙ্গার প্রসঙ্গ তুলে ভোট চেয়েছেন। 

এ রাজ্যে ‘কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ হওয়া নিয়েও সেলিমের প্রতিক্রিয়া চায় সংবাদ মাধ্যম। তিনি বলেছেন, ‘‘নিষিদ্ধ করা কোনও সমাধান নয়। কেন নিষিদ্ধ হলো তার সঠিক ব্যাখ্যাই বা কী?’’

আরেকটি প্রশ্নে সেলিম বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী দেখুন যাতে উত্তরবঙ্গ মণিপুর না হয়। ওঁর সঙ্গে আরএসএস নেতাদের যোগাযোগ রয়েছে। তাঁদের থেকে জেনে নিন কেন মণিপুরে বীভৎস হিংসা হলো।’’    

সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য টমাস আইজাক ‘কেরালা স্টোরি’ নিয়েই টুইট করেছেন। তিনি বলেছেন, কেরালায় সরকার এই সিনেমার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। মানুষই প্রত্যাখ্যান করছেন।’’

 

Comments :0

Login to leave a comment