I.N,D.I.A SHARAD PAWAR

রাজনীতি বদলানোর ক্ষমতা ধরে ‘ইন্ডিয়া’, বললেন পাওয়ার

জাতীয়

INDIA SHARAD PAWAR বুধবার মুম্বাইয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে পাওয়ার এবং বিরোধী নেতৃবৃন্দ।

গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবর্তন আনার সামর্থ্য রাখে বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’। মঞ্চের বৈঠকের আগেরদিন, বুধবার, সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেছেন এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার। 

পাওয়ারের দল এনসিপি ভেঙে ভাইপো অজিত এখন বিজেপি’র সঙ্গে মহারাষ্ট্রের জোট সরকারে। পাওয়ার সম্প্রতি একাধিক বার বলেছেন যে দল ভাঙেনি। তাঁর সঙ্গে অজিতের ব্যক্তিগত স্তর বৈঠক ঘিরেও প্রচুর সংশয় তৈরি হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক মহলে। এদিন তিনিই বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’-র বৈঠকের আগে সাংবাদিক সম্মেলন সে কারণেই বাড়তি গুরুত্বের বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, মুম্বাইয়ে শুরু হচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’-র বৈঠক। এদিন পাওয়ার জানিয়েছেন ২৮টি রাজনৈতিক দলের ৬৩ জন প্রতিনিধি যোগ দিচ্ছেন বৈঠকে। ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে বৈঠক। 

এর আগে পাটনা ও বেঙ্গালুরুতে হয়েছে মঞ্চের বৈঠক। বেঙ্গালুরুর বৈঠক থেকে নাম হয় ‘ইন্ডিয়া’। জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিল ২৬টি দল। পাওয়ারের ঘোষণা অনুযায়ী, মুম্বাই বৈঠকে আরও দু’টি দল বাড়ছে বিজেপি বিরোধী এই মঞ্চে।

বিজেপি এই প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করছে বারবারই। সংবাদমাধ্যমে তা নিয়ে চর্চা হয়েছে যে এই বিরোধী রাজনৈতিক বিন্যাসের চেয়ারপার্সন কে হবেন? বিজেপি’র পক্ষে এমন প্রচারও হয়েছে যে তাঁদের নেতা নির্দিষ্ট। কিন্তু বিরোধীদের নেতা নেই। প্রধানমন্ত্রী নিজে ‘ইন্ডিয়া’ সংক্রান্ত প্রচারে বারবারই মুখ খুলেছেন। তিনিও বলেছেন যে জোটের সব নেতা প্রধানমন্ত্রী হতে চান! 

মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং শিবসেনা প্রধান উদ্ধব থ্যাকারেকে এদিন তা নিয়েই প্রশ্ন করা হয়। থ্যাকারে বলেছেন, ‘‘আমাদের তো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনেকের মধ্যে থেকে একজনকে বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বরং বিজেপি’র সেই সুযোগ নেই। ওদের একজনই আছেন, একটিই মুখ।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এই মঞ্চে যোগ দেওয়া দলগুলির অভিন্ন লক্ষ্য হলো দেশে গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবে। তার জন্য হারাতে হবে বিজেপি’কে।’’

বিরোধী মঞ্চের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিয়েছে কংগ্রেসের অন্যতম নেতা অশোক চ্যবনও। ভোটের অঙ্ক দেখিয়ে হিসেব দিয়েছেন তিনি। চ্যবন বলেছেন, ‘‘২০১৯ সালে বিজেপি’র জয়জয়াকার হয়েছিল ঠিকই। আবার এটাও ঠিক যে বিজেপি পেয়েছিল ২২ কোটি ভোট। সেখানে বিজেপি নয় এমন দলগুলি পেয়েছিল ২৩ কোটি ভোট।’’ 

বিজেপি নয় এমন দলগুলির মধ্যে মায়াবতীর নেতৃত্বাধীন বিএসপি নিয়ে পরিকল্পনা রয়েছে কি? প্রশ্ন করা হলে পাওয়ার বলেন, ‘‘মায়াবতী কোন দিকে রয়েছে কারও পক্ষে তা স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। এর আগে তাঁকে দেখা গিয়েছে বিজেপি’র সঙ্গে কথা বলতে।’’ তাঁর দল ভেঙে বিজেপি’তে যোগ দেওয়া অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী সম্পর্কিত এক প্রশ্নে শারদ পাওয়ার বলেছেন, ‘‘যারা ছেড়ে গিয়েছে তাদেরও শিক্ষা দেবে জনতা।’’  

Comments :0

Login to leave a comment