ISRAEL INDIA WORKERS

এপ্রিল থেকে ৬ হাজার শ্রমিক ভারত পাঠাচ্ছে অশান্ত ইজরায়েলে

জাতীয় আন্তর্জাতিক

দেশে ভোট চলবে। আর অশান্ত ইজরায়েলে উড়ে যাবেন অন্তত ৬ হাজার ভারতীয়। ইজরায়েল সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছে ভারত। নির্মাণ ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজে শ্রমিকের কাজ করতে পাঠানো হচ্ছে এই ভারতীয়দের। এপ্রিল থেকে মে’র মধ্যেই দফায় দফায় পৌঁছে দেওয়া হবে এই শ্রমিকদের। এর আগে প্রায় ৯০০ ভারতীয় শ্রমিক সেদেশে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ইজরায়েল।
ইজরায়েলের শ্রমিক রপ্তানির এই নীতির বিরোধিতা করেছে সিআইটিইউ সহ ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন। ভারতের বিদেশনীতি নিয়েো প্রশ্ন তোলা হয়েছে ফের। 
জেরুজালেম থেকে ইজরায়েলের সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং ভারতের অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। ইজরায়েলের নির্মাণ শিল্পে সেদেশের শ্রমিকদের অংশগ্রহণ কম। এবারই সবচেয়ে বড় সংখ্যায় বিদেশি শ্রমিকরা কাজে যোগ দিচ্ছে।
ইজরায়েলের নির্মাণ শিল্পে বড় সংখ্যায় কাজ করতেন দখল করে রাখা ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক থেকে আসা প্যালেস্তিনীয় শ্রমিকরা। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৮৮ হাজারের কাজ করার ছাড়পত্র বাতিল করেছে ইজরায়েল সরকার। গাজা ভূখণ্ড ঘিরে সংঘাতকে হাতিয়ার করে বাতিল করা হয়েছে গাজারই আরও ১৭ হাজার শ্রমিকের ছাড়পত্র। তাঁদের জায়গায় কাজ করতে নেওয়া হচ্ছে ভারতীয় শ্রমিকদের।
বিজেপি সরকারে আসীন, হরিয়ানার মতো এমন একাধিক রাজ্যে শিবির করে শ্রমিক নিয়োগ করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এখন ভাড়া করা বিশেষ বিমানে চড়িয়ে এই শ্রমিকদের পাঠানো হবে ইজরায়েলে। 
প্যালেস্তাইনের শ্রমিকদের কাজের ছাড়পত্র কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে ইজরায়েল বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে। তেমনই প্রশ্নের মুখে পড়েছে ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারও। ‘নতুন ভারত’ এবং ‘বিকশিত ভারত’ স্লোগান ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বিজেপি’র নির্বাচনী জনসভায়। কর্মহীনতার বিভিন্ন সমীক্ষাকে খারিজ করে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নিজের প্রচারেই। প্রশ্ন উঠেছে, দেশে রোজগারের সুযোগ থাকলে এমন বড় সংখ্যায় শ্রমিককে অশান্ত ইজরায়েলে পাঠানো হচ্ছে কেন।  
ইজরায়েলে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকার এবং ভারতে নরেন্দ্র মোদীর সরকার, দুয়েরই রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির মিল রয়েছে উগ্র দক্ষিণপন্থায়। দুই সরকার চুক্তি করেছে সরাসরি নিজেদের মধ্যে। সেই সঙ্গে প্রশ্নের মুখে পড়েছে দেশের পরিকাঠামো নির্মাণে বিশেষ অগ্রগতির দাবি। পরিকাঠামো নির্মাণে বাজেট বরাদ্দের অঙ্ক দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী থেকে অর্থমন্ত্রী সেই দাবি করছেন। সত্যিই তেমন হলে প্রশিক্ষিত শ্রমিক বা কর্মীদের অন্য দেশে পাঠানো সম্ভব হতো না। যে শ্রমিকদের পাঠানো হচ্ছে তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থাই বা কী হবে, স্পষ্ট নয় এখনও। 
ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতিতে বলেছে, বিদেশ থেকে পৌঁছানো শ্রমিকদের বড় অংশকেই নির্মাণ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। একটি অংশ কাজ করবেন নার্সিং ক্ষেত্রে।

Comments :0

Login to leave a comment