কাজের জন্য ছুটতে হয়েছিল সংঘাতের ক্ষেত্র রাশিয়ায়। টোপ দেওয়া হয়েছিল ভালো চাকরির। শেষ পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল রাশিয়ার সেনাকে সহায়তা করার বিপজ্জনক কাজ। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ‘সাপোর্ট স্টাফ’ হায়দরাবাদের তরুণ মহম্মদ আসফান।
বুধবার তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে রাশিয়া। ভারতে রাশিয়ার দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে দেহ ফিরিয়ে আনার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগেই আসফানের পরিবার সরকারকে কিছু করার আর্জি জানিয়েছিলেন। সরকার ‘কিছু করার’ আগেই পৌঁছেছে মৃত্যুসংবাদ।
সঙ্কট কেবল আসফানেরই না, ভারতই জানিয়েছে অন্তত ২০ যুবককে টোপ দিয়ে রাশিয়ায় নিয়ে দেওয়া হয়েছে সেনাকে সহায়তা করার কাজ। এই তালিকায় রয়েছেন পাঞ্জাব, কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানার সঙ্গে গুজরাটের যুবকরা।
জানা গিয়েছে একটি ইউটিউব চ্যানেলে কারবার ফেঁদে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভারতীয় যুবকদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাশিয়ায়। সংখ্যা ঠিক কত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কিন্তু দেশে কাজের বাজার কেমন, বিকশিত ভারতের হাল কী, তার জানান দিচ্ছে মহম্মদ আসফানের মৃত্যু।
ভারত আবার ইজরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করেছে শ্রমিক রপ্তানির। বিজেপি সরকার রয়েছে যে যে রাজ্যে সেখানে চলছে তার প্রস্তুতিও। প্রতিবাদ জানিয়েছে সিআইটিইউ’র মতো সংগঠন, প্রতিবাদ জানিয়ে দেশের বহু অংশ। আমেরিকায় গোপনে কাগজপত্র ছাড়া ঢোকার ‘ডাঙ্কি রুটে’ ধরা পড়া বিদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভারতীয়। বারবারই প্রশ্ন উঠছে দেশে কাজের সুযোগ থাকলে, কাজ করে সঙ্গত মজুরি মিললে, যুব অংশ মারাত্মক ঝুঁকি নিয়েও সংঘাতের ক্ষেত্রে যেতে মরিয়া কেন। বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে দেশের সরকারই বা পরামর্শ দিচ্ছে না কেন।
এদিন ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, মহম্মদ আশপাণের দুঃখজনক মৃত্যুর খবর পাওবা গিয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। রাশিয়ায় ভারতীয় দূতাবাস তাঁর দেহ দ্রুত ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নিচ্ছে।
INDIAN YOUTH DEATH RUSSIA
রাশিয়ায় মৃত্যু হায়দরাবাদের যুবকের, প্রশ্ন কাজের বাজার ঘিরে
×
Comments :0