এলন মাস্কের স্টারলিঙ্কের সঙ্ঘে গাঁটছড়া বাঁধতে লাফালো ভারতের দুই টেলিকম কর্পোরেট। রিলায়েন্স জিও এবং ভারতী এয়ারটেল, দুই সংস্থারই দাবি যে মাস্কের স্টারলিঙ্ক পরিষেবা ভারতে চালু করার চুক্তি হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক নম্বর সহযোগী ধনকুবের এলন মাস্ক বিভিন্ন দেশেই নিজের ব্যবসা ছড়াতে তৎপর।
স্যাটেলাইট সংযোগ পরিষেবা স্টারলিঙ্ক চালু করার বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশই আপত্তি জানিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় মাস্কের প্রস্তাব আটকে রয়েছে। সে দেশের সরকার জানিয়েছে দেশের আইন না মানলে স্টারলিঙ্ক ব্যবসা করতে পারবে না। ভারতে এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন স্টারলিঙ্ক পায়নি। তার আগেই দুই টেলিকম কর্পোরেট চুক্তির খবর দিয়েছে। অনুমান, মাস্কের সঙ্গে এই দুই সংস্থা সিদ্ধান্ত নিতে চাপ তৈরি করছে।
জানা গিয়েছে, রিলায়েন্স জিও স্টারলিঙ্কের সরঞ্জাম বিক্রি করবে। সরঞ্জাম ‘ইনস্টল’ করার কারিগরি সহায়তা দেবে।
এয়ারটেল ঘোষণা করেছে যে আমেরিকার এই সংস্থার সঙ্গে তারাই ‘ভারতে প্রথম সমঝোতা’ করতে পেরেছে।
স্টারলিঙ্ককে ভারতে অনুমতি দেওয়ার আবেদনে এর আগে ব্যবসায়িক কারণে আপত্তি জানিয়েছিল জিও। জিও ‘হাইস্পিড ইন্টারনেট’ পরিষেবা ‘জিও এয়ার ফাইবার’ এবং ‘জিও ফাইবার’ প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে স্টারলিঙ্ক এলে। রিলায়েন্স ভারতের টেলিকম নিয়ামক প্রতিষ্ঠান ‘ট্রাই’-কে আবেদন জানিয়ে বলেছিল যে স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড পরিষেবার জন্য বেতার তরঙ্ক বা স্পেকট্রাম দেওয়া হোক প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। নিলামের মাধ্যমে এই স্পেকট্রাম যেন না দেওয়া হয়।
এয়ারটেল জানাচ্ছে স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে গ্রামীণ স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই পরিষেবা দেওয়ার কাজে হাত দেওয়া হবে অনুমোদন পেলে। যার অর্থ সরকারি স্তরে কোথাও না কোথাও এমন পরিকল্পনা আলোচনা হয়েছে।
এলন মাস্কের ‘স্পেসএক্স’ সংস্থার সহযোগী ‘স্টারলিঙ্ক’। উপগ্রহ মারফত সরাসরি ক্রেতার কাছে সংযোগ পরিষেবায় দেশের সুরক্ষা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। স্টারলিঙ্ককে ব্যবহার করে এমন নজরদারির অভিযোগ উঠেছে আন্তর্জাতিক স্তরে। সেখানে সংসদে কোনও আলোচনা ছাড়াই এই পরিষেবা চালু হচ্ছে কোন পথে। সরকারি অনুমোদন পাওয়ার আগেই দেশের সবচেয়ে বড় দুই টেলিকম কর্পোরেটই বা চুক্তি সই করে ফেলার ঘোষণা করছে কিভাবে।
অন্য দেশের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গেও শুল্ক যুদ্ধ শুরু করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভিবাসী হটানো, ভিসা আটকানোর দিকে এগিয়েছে আমেরিকা। চীন, মেক্সিকো বা কানাডা যেভাবে কড়া জবাব দিয়েছে তার ধারেকাছে দেখা যায়নি নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। চাপের কাছে ভারত কতটা এবং কিভাবে মাথা ঝোঁকাচ্ছে স্টারলিঙ্ক সংক্রান্ত আলোচনায় তা নিয়েও চলছে চর্চা।
Starlink Airtel Jio
অনুমোদন নেই, মাস্কের স্টারলিঙ্ক’র সঙ্গে চুক্তির দাবি এয়ারটেল, জিও-র

×
Comments :0