Pakistan Train Hijacked

বালোচিস্তানে উদ্ধার ১৯০ যাত্রী, শর্ত না মানলে সব পণবন্দি হত্যার হুমকি

আন্তর্জাতিক

অপহৃত ট্রেনে পণবন্দিদের মধ্যে ৫০ জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করল বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি। পাকিস্তানের জেলে বন্দি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সদস্যদের মুক্তির জন্য ২০ ঘন্টা সময় দিয়েছে। তা না হলে পণবন্দি আরও প্রায় ২৫০ জনকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। 
সশস্ত্র উগ্রপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী এই সংগঠন বুধবার রাতে বিবৃতিতে বলেছে যে পাকিস্তানি ড্রোন হামলার বদলা হিসেবে শত্রুপক্ষের ১০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার সংঘর্ষে পাকিস্তানের ১০ সেনা নিহত। মঙ্গলবার সংঘর্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছিল। মোট ৫০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এই সংগঠন বিএলএ’র দাবি, তাদের হাতে বন্দি আরও ১৫০ জন।   
মঙ্গলবার পাকিস্তানে কোয়েটা-পেশোয়ার জাফর এক্সপ্রেসের লাইনে বিস্ফোরণ করে বিএলএ। অপহরণ করে ট্রেনটি। সে সময়ে সেনা এবং নিরস্ত্র নাগরিক মিলিয়ে ট্রেনে প্রায় সাড়ে ৪০০ যাত্রী ছিলেন। 
পাকিস্তান প্রশাসন বুধবার জানিয়েছে যে পণবন্দি অন্তত ১৯০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রায় ৩০ জন সন্ত্রাসবাদীকে হত্যা করা হয়েছে। পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এখনও চলছে গুলির লড়াই।
যদিও এদিন রাতে পাকিস্তান প্রশাসন দাবি করেছে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে সেনা কর্মীদের গুলির লড়াইয়ে খতম হয়েছে ট্রেনের থাকা সমস্ত অপহরণকারী সন্ত্রাসবাদীরা। পণবন্দিদের উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় কয়েকজন যাত্রীর নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের বালুচিস্তানে বেনজির আক্রমণ চালিয়ে এক  বুধবার এই হামলার তীব্র নিন্দা করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, ‘‘নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসবাাদীদের প্রতিহত করছে।’’
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি বলেছেন, ‘‘এরা নিরীহ যাত্রীদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। সরকার সঙ্কট মোকাবিলায় জরুরি ব্যবস্থা নিয়েছে।’’ 
বুধবার সকালে পাকিস্তান প্রশাসন জানায় যে যাত্রীদের মধ্যে শিশু ও মহিলাদের ঢাল করছে সন্ত্রাসবাদীরা। আত্মঘাতী বাহিনী বসিয়ে রেখেছে। সে কারণে সতর্কতার সঙ্গে এগতে হচ্ছে। 
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) দীর্ঘদিন ধরেই পরচার করছে যে খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ এই এলাকার সম্পদ তুলে নিচ্ছে সরকার। কিন্তু এখানকার জনগণ চরম অবহেলার শিকার।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, পাহাড়ের ভিতর এক সুড়ঙ্গে রেললাইনে বিস্ফোরণ করে লাইন উড়িয়ে দেওাব হয়। তারপরেই চারদিক থেকে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়। কোয়েটা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বোলান জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। 
পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেসে প্রায় ৫০০ জন যাত্রীদের মধ্যে প্রচুর সংখ্যক সেনাকর্মীও ছিলেন। ছিলেন গোয়েন্দা আধিকারিকরাও। মূলত সেই সেনা কর্মী এবং আধিকারিকদের পণবন্দি করাই ছিল বালোচ হামলাকারীদের লক্ষ্য।

Comments :0

Login to leave a comment