আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে তোলা চলছিল ভুয়ো নামে আধার কার্ড। তোলা চলছিল একাধিক সিম কার্ড। তা থেকে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির চক্র চলছিল রমরমিয়ে।
জলপাইগুড়ির জেলার ডুয়ার্স এলাকায় ধরা পড়ল এমন চক্র। এই চক্রের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গ ও কলকাতা সংলগ্ন এলাকায় জালিয়াতির যোগসূত্র পেয়েছে জলপাইগুড়ি পুলিশ।
জালিয়াতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে জলপাইগুড়ি পুলিশ।
রবিবার জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি সাইবার থানায় সাংবাদিক সম্মেলনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সৌভনিক মুখার্জি জানান যে
একাধিক বার এক ব্যক্তির আঙুলের ছাপ নিয়ে একাধিক সিম কার্ড তুলে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি থেকে কল সেন্টার চালানোর মতো অপরাধমূলক কাজ করে চলছিল একটি চক্র। দীর্ঘ সময় ধরে গোপনে তদন্ত করে অবশেষে জেলার তিনটি থানা এলাকা থেকে এই চক্রের তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ধৃতদের মধ্যে রয়েছে মেটেলি থানা এলাকার অর্ণব দত্ত, নাগরা কাটা থানা এলাকার সুখানি বস্তির সুনীল প্রসাদ এবং মেটলি থানার বড় দিঘি এলাকার আরব কমিউনিকেশনের নরেন্দ্র ঠাকুর।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান এই সিমগুলি মূলত ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতো। অন্য কোন অপরাধ মূলক কাজে সিমগুলি ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। জলপাইগুড়ি থেকে দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় এই সিমকার্ডগুলি বিভিন্ন জালিয়াতদের হাতে কিভাবে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল তাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
আটক তিনজনকে ১০ দিনের হেপাজতে চেয়ে রবিবার আদালতে পেশ করে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। সৌভনিক মুখার্জি জানান যে ডিজিটাল অ্যারেস্ট বলে কোন কিছু হয় না। যদি কেউ ফোন করে এ ধরনের কিছু বলে বা ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত গোপন তথ্য জানতে চায় তাহলে তৎক্ষণাৎ নিকটবর্তী থানায় যোগাযোগ করা প্রয়োজন। পাশাপাশি অনুমোদিত দোকান থেকেই সিম কার্ড নেওয়ার সময় আধার সহ বিভিন্ন নথি সই করে দিলে জালিয়াতিতে ব্যবহার ঠেকানো সম্ভব।
Bank Fraud Jalpaiguri
ভুয়ো সিম কার্ড তুলে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি চক্র ধরা পড়ল জলপাইগুড়িতে

×
Comments :0