সঞ্জিত দে- ধূপগুড়ি
উপনির্বাচন ৫ সেপ্টেম্বর। ১ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার, বামফ্রন্টের কেন্দ্রীয় জমায়েত ধূপগুড়িতে। আসছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং প্রদেশে কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বৃহস্পতিবার দিনভর গ্রামে গ্রামে প্রচারে ব্যস্ত থাকলেন বামফ্রন্ট কর্মীরা। বামফ্রন্ট সমর্থিত সিপিআই(এম) প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায়কে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেসও।
সিপিআই(এম) জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য বলেছেন, লুটেরা দুই দলের চেহারাই বুঝতে পারছেন জনতা। দু’দলই লুটেরাদের নিয়ে চলে তৃণমূল এবং বিজেপি, দু’দলই গরিব মানুষের বিভাজন উসকে দেয়। মানুষের অধিকারকে কেড়ে নিতে ব্যস্ত দু’দলই। তার বিরুদ্ধে চলছে প্রচার। কেন্দ্রীয় জমায়েতের প্রস্তুতিতে যাওয়া হচ্ছে বাড়ি বাড়ি।
গাদং-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। এই গ্রামের সীমানা ঘেঁষে দুই নদী গিলান্ডি- ডুডুয়া দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। এখানেই মুন্ডা পাড়া গ্রাম। আদিবাসী জনজাতির অত্যন্ত গরিব মানুষের বাস। বৃহস্পতিবার এখানেই মুন্ডা পাড়ায় বামফ্রন্ট সমর্থিত সিপিআই(এম) প্রার্থী ঈশ্বর চন্দ্র রায়ের সমর্থনে ভোট প্রচার হয়েছে। অংশ নিয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য সায়নদীপ মিত্র, যুব নেতা কলতান দাশগুপ্ত, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য আদিবাসী অধিকার মঞ্চের রাজ্য সভাপতি রামলাল মুর্মু, কৃষক সভার জেলা সভাপতি প্রাণগোপাল ভাওয়াল প্রমুখ।
রামলাল মুর্মু বলেন, তৃণমূল গরিব আদিবাসী মানুষকে বঞ্চিত করেছে। বিজেপি-ও বিভাজনের বিষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
সায়নদীপ মিত্র বলেন, মমতা ব্যানার্জি একসময় লোকসভায় এনআরসি চেয়েছিল। বিজেপি এনআরসি’র নাম করে বিভাজন চায়।
শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের এক কর্মী বলেন, শিশুদের খাবার দু’মাস বন্ধ। এই বরাদ্দের টাকা কোথায় গেল? শিশুদের মুখের গ্রাস কেড়ে নেবার জন্য কায়দা করে দুমাস স্কুল বন্ধ রাখা হলো। এসএফআই’র সাধারণ সম্পাদক ময়ুখ বিশ্বাস বৃহস্পতিবার বারঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেমটিয়া গ্রামে যান। এসএফআই’র রাজ্য সভাপতি প্রতিকুর রহমান বুধবার রাতে খলই গ্রামে পথসভায় বক্তব্য রাখেন।
Comments :0