কার্যত বিজেপি’র জয় ঘোষণা করে দিতে চাইলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। অথচ বিজেপি বিরোধী শিবিরে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি জানিয়ে চলেছে তৃণমূল। শুক্রবার মুর্শিদাবাদে একটি অনুষ্ঠান থেকে মমতার দাবি লোকসভায় কংগ্রেসের ৪০টি আসনও নিশ্চিত নয়।
বারেরবারেই কংগ্রেস এবং সিপিআই(এম)’কে আক্রমণের নিশানা করেছেন মমতা। গত কয়েকদিন রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ রাজ্যে ঢোকার পর থেকে চলছে লাগাতার প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক আক্রমণ।
মমতার মন্তব্যকে লুফে নিয়েছে বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অনুগামী জাতীয় স্তরের সব সংবাদ প্রতিষ্ঠান। ‘ইন্ডিয়া’ জোট ঘিরেও প্রচারের মাত্রা বেড়েছে আরও।
সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম যদিও বারবারই বলছেন যে মমতার আসল উদ্দেশ্য বিজেপি বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’-কে দুর্বল করা। সেই লক্ষ্য নিয়েই এই মঞ্চে শামিল হয়েছে তৃণমূল। নিকায় উঠে ফুটো করার চেষ্টা চলছে। বামপন্থীরা এই মঞ্চকে শক্তিশালী করার কাজ করছে।
কংগ্রেসের যাত্রার রুট ধরে ঠিক তার পিছু পিছু সভা করে চলেছেন মমতা। কোচবিহার, শিলিগুড়ি, চোপড়া বা ইসলামপুরের পর এদিন সভা করেছেন মুর্শিদাবাদে।
এদিন বীরভূম হয়ে ঝাড়খণ্ডে ঢুকেছে কংগ্রেসের যাত্রা। মুর্শিদাবাদের মতই বীরভূমেও পদে পদে পুলিশী হেনস্থা, অসহযোগিতার সাথে যুঝেই এগোতে হয়েছে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রাকে। তবে বিপুল জনজোয়ার পুলিশী বাধাকে ধোপে টিকতে দেয়নি।
Comments :0