LEFT CONVENTION SALIM

একজোট থেকেই বাংলাকে রক্ষার লড়াইয়ের ডাক সেলিমের

রাজ্য কলকাতা

শুক্রবার মৌলালীতে বামফ্রন্টের ডাকে গণ জনভেনশনে মহম্মদ সেলিম।

অনিন্দ্য হাজরা

রাজ্যে দুর্নীতি দুষ্কৃতী জোটকে ভাঙতে হবে। দুস্কৃতি শুধু মস্তান নয়। রাজ্য এবং কেন্দ্র পুলিশকেও ব্যবহার করছে। দুর্নীতি এবং দুষ্কৃতী উভয়ের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। বৃহত্তর অংশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাকে রক্ষা করতে হবে। তবেই দেশকে রক্ষা করা যাবে।

শুক্রবার মৌলালি যুবকেন্দ্রে বামফ্রন্টের ডাকে গণ কনভেনশনে এ কথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেছেন, ‘‘ মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে লুট করা যায় না। আবাসন থেকে শুরু করে গ্রাম, কেউ সুরক্ষিত নয়। আবাসন ঘিরে ফেলে মিড ডে মিলের আন্দোলনকারীদের ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেপ্তার করতে গিয়েছে তৃণমূল সরকারের পুলিশ।

এদিন গন কনভেনশনে প্রস্তাব পেশ করেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। টানা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। 

সেলিম বলেন, ‘‘দ্বিমুখী আক্রমণের শিকার মানুষ। মুনাফা বাড়ানোর জন্য মানুষের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে ঘোষিত কিংবা অঘোষিত ভাবে। এ রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে। সত্তর দশকে শহর কেন্দ্রীক আক্রমণের বদলে এখন গ্রাম কেন্দ্রীক আক্রমণ চলছে। সেগুলি মিডিয়াতে আসে না। বামেদের হটাতে বহু প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি এক জায়গায় এসেছিল রাজ্যে। বামপন্থীরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কাজের দাবির আন্দোলন করে মানুষের ঐক্য দৃঢ় করেছিল। এটা দক্ষিণপন্থীরা ভাঙতে পারছিল না। তাই লাল হটাও স্লোগান উঠেছিল।’’ 

সেলিম বলেন, ‘‘সরকার বদলের পর সব জায়গায় প্রথমে বামপন্থী কর্মীদের উপর আক্রমণ করা হল। নিরাপদ সরদারের মতো বিধায়কদের অধ্যক্ষের আসন থেকে আক্রমণ করা হয়েছে। মাইক বন্ধ করা হয়েছে। বিধায়কদের মারা হয় ডেপুটি স্পিকার সোনালী গুহের নেতৃত্বে। তিনি এখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির নেত্রী। বিডিও, বিএলআরও অফিস মস্তানদের আখড়া হয়ে গিয়েছে। সব ক্ষমতা নবান্নে কেন্দ্রীভূত।’’ 

এদিনই রাজ্যে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদী। সেলিম বিজেপি’কে লক্ষ্য করে বলেন, ‘‘মানুষের প্রতিবাদকে ধর্ম, জাতের নামে ভাগ করার চেষ্টা চলছে। ভাগ হলেই মানুষের শক্তি কমে। প্রতিবাদ প্রতিরোধের ভাষা এক।’’ তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী এসে রামমোহনের কথা বলছে। নবজাগরণের প্রাপ্তিকে ধ্বংস করে রামমোহনের নাম নিচ্ছেন মোদী।’’

মোদীকে লক্ষ্য করেই সেলিম বলেন, ‘‘মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী চুপ। সন্দেশখালি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চুপ। কুস্তিগিরদের নিয়ে মোদী চুপ। শাহাজানের গ্রেপ্তারি নিয়ে মমতা চুপ। এরা দুজনেই আদবানীর পাঠশালার ছাত্র।’’

Comments :0

Login to leave a comment