পঞ্চায়েত নির্বাচনে গণতন্ত্র হত্যা করেছে তৃণমূল। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ভোটের দিনই কেবল নয়, লুট হয়েছে গণনাকেন্দ্রেও। জয়ী প্রার্থীর সার্টিফিকেট কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের ভূমিকা বরদাস্ত করবেন না বাংলার মানুষ।
এই মর্মে স্লোগান তুলে বুধবার কলকাতার গোলপার্ক থেকে হাজরা পর্যন্ত শুরু হয়েছে মিছিল। বামফ্রন্টের ডাকে এই মিছিলে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে মণিপুরে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে মালদহের মতো রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নারী নির্যাতন মেনে নেওয়া হবে না।
মিছিলে অংশ নিয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেছেন, ‘‘মণিপুরে অকথ্য নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। এ রাজ্যে তৃণমূলের শাসনে নারীদের নিরাপত্তা যেভাবে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে তার বিরুদ্ধেও এই প্রতিবাদ মিছিল।’’
বামফ্রন্ট কর্মীরা বলছেন, এ রাজ্যে পঞ্চায়েতে বামফ্রন্টের প্রার্থী ভোট লুটের প্রতিবাদ করায় তাঁকে কান ধরে ওঠবোস করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের অজস্র অন্যায়ের একটি এমনই মারাত্মক। এই অন্যায় চলবে না।
মিছিলে রয়েছে সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও। গণতন্ত্র হত্যার পাশাপাশি ভয়ঙ্কর মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের চড়া মাশুল এবং রাজ্য জুড়ে দুর্নীতির প্রতিবাদেও সরব রয়েছে মিছিল।
বামফ্রন্ট কর্মীরা বলছেন, সারা দেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়াচ্ছে আরএসএস-বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নীরব থেকে মদত জোগাচ্ছেন। মানুষের একতাকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কোথাও ধর্ম, কোথাও জাত, কোথাও জনগোষ্ঠীগুলির মধ্যে বিরোধ তৈরি করা হচ্ছে। আর এ রাজ্যে তৃণমূল সরকারের মদতেও মানুষের ঐক্য ভাঙার চেষ্টা হচ্ছে। আদিবাসী বনাম তপশিলি, হিন্দু বনাম মুসলিম, উত্তর বনাম দক্ষিণ- বিভাজনের এই খেলায় সক্রিয় শরিক তৃণমূল কংগ্রেসও। লুটেরাদের হটাতে, দুর্নীতি বন্ধ করতে মানুষের একতা জরুরি। বামফ্রন্ট সেই লড়াইয়ে আছে।
Comments :0