MODI KERALA

কেরালায় মোদী, কেন্দ্রীয় উদ্যোগের
দাবিতে চোট রাজ্যের তথ্যে

জাতীয়

MODI KERALA

দু’দিনের সফরের গোড়াতেই স্বভাবসিদ্ধ চমক দেওয়ার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ কেরালা পৌছান তিনি। স্থানীয় পোশাক পরে করেছেন রোড শো। কেরালার উন্নয়নে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার প্রবল মনোযোগী, জানিয়েছেন সেই দাবি। 

মুখ্যমন্ত্রী এবং সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য পিনারাই বিজয়ন পরপর টুইটে তথ্য দিয়ে মনে করিয়েছেন, পরিকাঠামো কেবল নয় মানবসম্পদের উন্নয়নে কাজ করছে রাজ্যই। 

সরকারি সফর হলেও বিজেপি’র জন্য লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু হিসেবে সফরকে দেখছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কেরালায় বিজেপি লোকসভা এবং বিধানসভায় কোনও আসন পায়নি। এর আগে অমিত শাহ রাজ্যজুড়ে যাত্রা শুরু করলেও জনসমর্থন বাড়েনি।  

এদিন কোচিতে নৌবাহিনীর গরুড় নৌঘাঁটি থেকে মিনিট পনের পায়ে হাঁটেন মোদী। রোড শোয়ের সময় তাঁকে ঘিরে ছিল সুরক্ষাবাহিনী। নিরাপত্তা নিয়ে ঢিলেমির সুযোগ রাখেনি রাজ্যের বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সরকার। কয়েক হাজার পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয় এলাকা। 

এরপরই মোদী পৌঁছান ‘যুবম ২০২৩’ অনুষ্ঠানে। সরকারি অনুষ্ঠানে বরাবরের মতো রাজনৈতিক বক্তৃতা দেন। মোদী বলেন, ‘‘বড় পরিকাঠামো গড়ে উঠছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উদ্যোগে। আগের সরকার দুর্নীতিতে ব্যস্ত ছিল। এখন কেন্দ্র যুবদের জন্য সুযোগ তৈরি করছে সব ক্ষেত্রে। ভোকাল ফর লোকাল নীতিতে দেশীয় উৎপাদনে জোর দেওয়া হয়েছে। মহাকাশ গবেষণা থেকে প্রতিরক্ষা, সব ক্ষেত্রে যুবদের অংশ নেওয়ার সুযোগ খুলে দেওয়া হয়েছে।’’ 

মঙ্গলবার কোচিতে ওয়াটার মেট্রো প্রকল্প উদ্বোধন করবেন মোদী। ‘স্বপ্নের প্রকল্প’ আখ্যা দিয়ে এ সম্পর্কে বিশদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন। তিনি বলেছেন, ‘‘দশটি দ্বীপকে জুড়বে এই প্রকল্প। বিদ্যুৎচালিত জলযানে দ্রুত হবে যোগাযোগ ব্যবস্থা।’’ সেই সঙ্গে বিজয়ন জানিয়েছেন যে প্রকল্পের খরচ ১ হাজার ১৩৬ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা। কেরালা সরকার এবং জার্মান লগ্নি সংস্থা কেএফডব্লিউ’র টাকায় এই প্রকল্প তৈরি হচ্ছে। 

মোদী যদিও এই প্রকল্প ‘দেশবাসীকে উৎসর্গ’ করে টুইট করেছেন। 

কেরালা সরকার গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নিয়েছে আবাস এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে। চরম দারিদ্র্য দূর করার কর্মসূচির প্রথম ধাপ শেষ। রাজ্যের হিসেব অনুযায়ী ৬৪ হাজার ৬টি পরিবার তলানি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। 

মোদী কোচিতে দেখা করবেন খ্রীস্টান মিশনারিদের একাংশের সঙ্গে। বিষয়টি নিয়ে কলকাতায় প্রশ্ন করা হয় মহম্মদ সেলিমকে। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কোনও অংশের কাছে পৌঁছাতে পারেন। কিন্তু বিজেপি এবং আরএসএস সরকারি কর্মসূচি থেকে ধর্মকে রাজনীতির সঙ্গে মেশানোর কাজ করে। যেমন এ রাজ্যে করেন মমতা ব্যানার্জি। এ দেশে বড়দিনেও হামলা হচ্ছে একের পর এক গির্জায়। তখন কিন্তু মোদী নীরব থাকেন।’’

Comments :0

Login to leave a comment