NATUNPATA : MONDA MITHAI : VIDHAYASAGAR : AKASH BISWAS : 5 OCTOBER 2024, SATURDAY

নতুনপাতা : মণ্ডা মিঠাই : জন্মদিনে পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর : আকাশ বিশ্বাস : ৫ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার

ছোটদের বিভাগ

NATUNPATA  MONDA MITHAI  VIDHAYASAGAR  AKASH BISWAS  5 OCTOBER 2024 SATURDAY

নতুনপাতা : মণ্ডা মিঠাই

জন্মদিনে পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
আকাশ বিশ্বাস

 

পন্ডিত ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর (২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০সালে;১২ আশ্বিন ১২২৭বঙ্গাব্দে) মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্ৰামে জন্মগ্রহণ করেন। 
তাঁর আসল নাম ঈশ্বর চন্দ্র বন্দোপাধ্যায়। 
তাঁর পিতা ছিলেন ঠাকুরদাস বন্দোপাধ্যায় এবং তাঁর মাতার নাম ভগবতী দেবী। তাঁর চরিত্র ছিল কঠোর ও ফুলের মতো নরম । তিনি ছিলেন প্রবল জেদী এবং আত্মমর্যাদা সম্পন্ন। 
তিনি শুধু বিদ্যাসাগরই ছিলেন না তিনি ছিলেন করুনার সাগর দয়ারসাগর। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের স্ত্রী তিনি ছিলেন বাংলার নবজাগরনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পথিকৃৎ  বিদ্যাসাগর। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা তার হাত ধরেই আমাদের দেশে বিকশিত।‌  সমাজে নারীদের শিক্ষার প্রসারে তিনি অগ্রপথিক।  নারী শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি উপলব্ধি করেন নারী শিক্ষার উন্নতি না ঘটলে এর প্রকৃতপক্ষে সমাজ ও সংস্কৃতির উন্নতি ঘটা সম্ভব নয় । তিনি কলকাতায় একটি হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন বর্তমানে এটি বেথুন স্কুল নামে পরিচিত।‌ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি বর্ধমান জেলায় একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।‌ এমনকি এই বাংলার বহু এলাকায় মেয়ে দের জন্য স্কুল তৈরি করতে তিনি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।‌
তিনি ছোটদের জন্য বর্ণপরিচয় রচনা করেন। তার সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে পাণ্ডিত্য ও ভালোবাসা দেখে ১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজে তাকে বিদ্যাসাগর উপাধি দেওয়া হয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
বিধবা নারীদের পুনঃবিবাহের জন্য লড়াই করেছিলেন  ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৮৫৬ সালের ২৬ জুলাই  বিধবা বিবাহ আইন পাশ হয় । এই আইনের খসড়া প্রস্তুত করেন তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসি এবং এই আইন পাস করেন লর্ড ক্যানিং । 
তিনি বাংলার সচেতন  সমাজের একমাত্র পুরুষ যাকে পথপ্রদর্শক হিসেবে গ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা পথের দিশা খুঁজে পায়। এই মনিষী রাজা রামমোহন রায়ের মত নারীদের প্রতি নানা কুসংস্করের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন এবং সে আন্দোলনের বিজয়ী হন।‌ বর্তমানকালে তার মত মানুষের জন্য নারীরা এত উচ্চ স্তরে পৌঁছেছে ।
এই মনীষীকে দেখেই বোঝা যায় যে কোন কাজ করার ইচ্ছা থাকলে যে বাধাই আসুক না কেন ,  তাকে কি করে অতিক্রম করে কাজটি সম্পন্ন করা যায়।  এই মহান মনীষীর লিভারে ক্যান্সার জনিত রোগ হওয়ার কারণে হাজার ১৮৯১ সালের ২৯ শে জুলাই বাংলা ১২৯৮ সনের ১৩ই শ্রাবণ  রাত্তির ২ বেজে ১৮ মিনিটে তার কলকাতার বাদুড় বাগানস্থ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন ।‌ মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৭০ বছর। এই মহান মনীষীর জন্মদিনে আমরা সবাই তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করছি।

অষ্টম শ্রেণী 
কল্যাণ নগর বিদ্যাপীঠ খড়দহ 
ডাঙাদিঘিলা, খড়বাগান, উঃ ২৪ পরগনা, মো: ৯৮৭৫৩৭৩৯৭৬

Comments :0

Login to leave a comment