SUJAN CHAKRABARTY JAYNAGAR

জয়নগরে পুলিশি ব্যর্থতার জবাব দিতে হবে পুলিশমন্ত্রীকে, দাবি চক্রবর্তীর

জেলা

সুজন চক্রবর্তীর ছবি সংগ্রহ থেকে।

জয়নগরে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। গোটা পশ্চিমবঙ্গ ধর্ষণ এবং খুনের রাজত্বে পরিণত হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত নিন্দাজনক। এক থানা থেকে আরেক থানায় ঘুরিয়েছে মানুষকে। মুখ্যমন্ত্রীকে এই অপদার্থতার দায় নিতে হবে। জনতার বিক্ষোভ সঙ্গত।
জয়নগরের মহিষমারির ঘটনাক্রম প্রসঙ্গে একথা বলেছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। নয় বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়েছে জয়নগরের এই এলাকা। শুক্রবার রাতে শিশুর পরিবার অভিযোগ খুঁজে না পাওয়ার অভিযোগ জানাতে গেলে এক থানা থেকে অন্য থানায় ঘুরতে হয় পরিবার-পরিজনদের। পরে পাওয়া যায় তার দেহ।
চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘অভিযোগ মেলা মাত্র ব্যবস্থা নিলে হয়ত শিশুকন্যাকে রক্ষা করা যেত। কেন পুলিশ ব্যবস্থা না নয়ে এক থানা থেকে অন্য থানায় ঘোরালো। এই চরম অপদার্থতার কোনও ব্যাখ্যা নেই।’’
আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটে অভিযুক্ত পুলিশ। অপরাধীদের না ধরে প্রতিবাদীদের হেনস্তা করার অভিযোগেও বারবার সরব হয়েছেন বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। ৯ আগস্ট আর জি কর হাসপাতালের ঘটনার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক খুন এবং ধর্ষণ হয়ে চলেছে। জয়নগরের ভয়াবহ ঘটনায় রাজ্যজুড়ে ধিক্কারের মুখে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার।
চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজত্বকাল ধর্ষণ এবং খুনের রাজত্ব হয়ে গিয়েছে। ক্লাস ফোরে পড়া মেয়ে বাড়ি ফেরার পথে অপহৃত হলো। মানুষ বড় কিছু ঘটনার আশঙ্কা করে পুলিশের কাছে গেল। আর পুলিশ কার্যত মানুষকে লাথি মেরে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরিয়ে গেল।’’
স্থানীয়রা জানিয়েছেন মহিষমার ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে গেলে পাঠানো হয় কুলতলি থানায়। কুলতলি থানা ফিরিয়ে ফের পাঠায় মহিষমারিতে। আবার তাঁদের যেতে হয় জয়নগর থানায়। কেবল অভিযোগ দায়ের করতেই রাতে এভাবেই নাজেহাল হতে হয়েছে তাঁদের। পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়া অনেক পরের কথা।
চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘মানুষের চাপে যখন সন্দেহভাজনকে ধরল তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। মেয়েটি খুন হয়ে গিয়েছে। এত অপদার্থ যে খুনের জায়গা ঘিরে পর্যন্ত রাখল না। আর কত অপদার্থতা দেখতে হবে? কী চায় সরকার!’’ 
চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এ কেমন শাসন যেখানে মেয়েদের নিরাপত্তা নেই, মানুষের নিরাপত্তা নেই। কেন পুলিশের এই ভূমিকা তার উত্তর তো মুখ্যমন্ত্রীকে দিতে হবে। তিনিই তো পুলিশমন্ত্রী। থানায় কেন আগুন লেগেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ এভাবে নিষ্ক্রিয় থাকল কেন আগে তার উত্তর দিতে হবে পুলিশমন্ত্রীকে।’’

Comments :0

Login to leave a comment