BIKASH bHATTACHARYA

খাটো করেন অপরাধকে, পরপর ধর্ষণকাণ্ডের দায় মুখ্যমন্ত্রীর: বিকাশ ভট্টাচার্য

রাজ্য

ধর্ষণের ঘটনাকে বারবার চেপে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীই। একের পর ধর্ষণে অপরাধকে খাটো করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে ধারাবাহিক ধর্ষণের দায়ও তাঁর।
শনিবার জয়নগরে নাবালিকার ধর্ষণ খুনের পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেছেন আইনজীবী এবং সিপিআই(এম) সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য।  
তিনি বলেছেন, ‘‘একের পর এক ধর্ষণ হচ্ছে রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গের এই রকম ধারাবাহিক ধর্ষণকাণ্ডের সামগ্রিক দায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর।’’
ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘বারবার দেখা গিয়েছে ধর্ষণের প্রতিটি ঘটনাকেই ছোট ঘটনা বা দুর্ঘটনা বলে টাকার বিনিময়ে সমাধান করতে চেয়েছেন। আসলে ধর্ষকদের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়েছেন তিনি।’’
আর জি কর হাসপাতালে ধর্ষণ খুনের ঘটনার পরও টাকা দিয়ে পরিবারকে মুখ বন্ধ রাখতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরিবার অভিযোগ জানায় যে ডিসি নর্থ পরিবারকে সেই প্রস্তাব দেয়। মুখ্যমন্ত্রীকে অন্য এক অনুষ্ঠানে আর্থিক ক্ষতিপূরণের কথা বলতেও শোনা গিয়েছে। প্রমাণ লোপাটে স্বাস্থ্য দপ্তর এবং পুলিশের সক্রিয়তা প্রতিবাদের কেন্দ্রে রয়েছে। আর জি কর কাণ্ডকে শুক্রবার ‘দুর্ঘটনা’ বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 
জয়নগরের মহিষমারিতেও জনতার ক্ষোভ আচড়ে পড়েছে পুলিশের ওপর। শুক্রবার রাতে নাবালিকা বাড়ি না ফেরায় স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতেই গিয়েছিল পরিবার। তাঁদের অন্য থানায় পাঠানো হয়। অসহায় অবস্থায় এক থানা থেকে অন্য থানায় ঘুরতে হয় তাঁদের। এরপরই নাবালিকার দেহের খোঁজ পাওয়া যায়। পুলিশ তৎপর হলে, নাবালিকার মৃত্যু ঠেকানো যেত বলে মনে করছেন অনেকেই। যে কারণে ক্ষোভও তীব্র হয়েছে পুলিশের ওপর।
ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধর্ষকদের সঙ্গে শাসকদলের স্থানীয় নেতা কর্মীদের যোগাযোগ থাকে। স্বভাবতঃই স্থানীয় স্তরের পুলিশের মধ্যেও ধর্ষকদের প্রতি দুর্বলতা জন্ম নেয়। ধর্ষণের অভিযোগকে তাঁরা গুরুত্ব দেন না।  ফলতঃ জনরোষের শিকার হতে হচ্ছে পুলিশকে। পুলিশ কর্মীদেরও ভাবার সময় এসেছে আত্মমর্যাদা রক্ষার জন্য কর্তব্য ঠিক করার।’’
নিহত নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার এবং গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূলের স্থানীয় বিধায়কও। অভিযোগ, তিনি মুখ বন্ধ রাখার জন্য হুমকি দিতে এসেছিলেন। জনতার তাড়ায় এলাকা ছাড়তে হয় তাঁকে। 

Comments :0

Login to leave a comment