বর্ডার গাভাসকর সিরিজের চতুর্থ টেস্টে খাদের কিনারায় দাঁড়িয়েছিল ভারত। আট নম্বরে ব্যাট করতে এসে নীতিশ কুমার রেড্ডির অসাধারণ ইনিংস খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলল ভারতকে। মাত্র ২১ বছরেই মেলবোর্নের মতো ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামে নীতিশ লিখে ফেললেন সেঞ্চুরি প্রাপকদের তালিকায় নাম।
১৯১/৬ স্কোরবোর্ডে। তখন নামেন নীতীশ রেড্ডি। তাঁর সেঞ্চুরি এবং সঙ্গী ওয়াশিংটন সুন্দরের জুটি ভারতকে ৩৫৮/৯ স্কোরে তুলে নিয়ে গিয়েছে।
নীতীশের বেড়ে ওঠার পিছনে রয়েছে রয়েছে তাঁর বাবা মুতায়ালা রেড্ডির পরিশ্রমও। ২০১৬-তে হিন্দুস্তান জিঙ্ক’র চাকরি ছেড়ে দেন মুতুয়ালা। ছেলের প্র্যাকটিস থেকে শুরু করে বেড়ে ওঠার পর্বে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত।
নীতীশ নিজেই বলেছেন, ‘‘ছোটবেলায় আমি যথেষ্ট মনোযোগী ছিলাম না। বাবা আমার জন্য চাকরি ছেড়ে দেন। আজকে যা হয়েছে তার পিছনে বাবার বিরাট অবদান রয়েছে। আর্থিক কষ্টে তাঁকে আমি কাঁদতে দেখেছি। কেবল তারপর থেকে মনোযোগী হই। পরিশ্রম করেছি, তার ফল পাচ্ছি। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হিসেবে আমি খুশি, কারণ বাবা খুশি। আমার প্রথম জার্সি যখন দিয়েছিলাম বাবাকে দেখেছিলাম তাঁর চোখেমুখে আনন্দ।’’
এদিন মেলবোর্নের প্রায় ৬০০০০ দর্শকের সামনে সেঞ্চুরি করার পর আবেগে কেঁদে ফেলেন মুতুয়ালা।
NITISH Reddy
সেঞ্চুরি করে বাবার অবদান স্মরণ নীতীশের
×
Comments :0