CENSUS

লোকসভা ভোটের আগে জনগণনা
হওয়ার সম্ভাবনাই প্রায় নেই

জাতীয়

CENSUS ছবি টুইটার থেকে।

‘নতুন ভারত’ সমীক্ষা এবং তথ্য প্রকাশের জায়গা রাখবে না। জনগণনা বা ‘সেনসাস’ এই প্রথম নির্ধারিত সময়ে হয়নি। সম্ভবত লোকসভা ভোটের আগে শুরুই হবে না জনগণনার কাজ। 

প্রতি দশকে একবার জনগণনা হওয়ার কথা। শেষ জনগণনা হয়েছে ২০১১’তে। ২০২১-এ পরের জনগণনা হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। কেন্দ্র জানায় কোভিড পরিস্থিতির কারণে ২০২০’তে জনগণনার কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। ২০২০’র ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি ঘুরে তথ্য সংগ্রহের কথা ছিল। কোভিড পরিস্থিতি জনিত সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হলেও জনগণনার প্রক্রিয়া আর চালু হয়নি। 

সেনসাস না হওয়ায় কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। বামপন্থীদের পাশাপাশি বিরোধী বিভিন্ন দলই বলেছে যে কত মানুষের ঘর আছে, বিদ্যুৎ কত ঘরে এমন গুরুত্বপূর্ণ নানা তথ্যই জনগণনায় বেরিয়ে আসে। প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি’র ভুয়ো দাবি ধরাও পড়ে যেতে পারে। সেই ভয়েই হচ্ছে না জনগণনা। বিরোধীরা জনগণনার সঙ্গে জাতভিত্তিক গণনারও দাবি তুলেছেন যাতে সামাজিক বঞ্চনার খতিয়ান স্পষ্ট হয়।  মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে ভয় দেখানো ভুয়ো প্রচারও বাধার মুখে পড়ে। কারণ দশ বছর আগের সেনসাসই দেখিয়েছিল মুসলিম জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার কমেছে গুরুত্বপূর্ণ মাত্রায়।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সেনসাস কমিশনারের দপ্তর জনগণনার পুরো কাজ তদারকি করে। রিপোর্টও প্রকাশ করে। এই দপ্তরের আধিকারিকদের একাংশ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন যে লোকসভা ভোটের আগে জনগণনার কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। 

জানুয়ারিতে এই দপ্তর নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ জারি করে নতুন প্রশাসনিক এলাকা বিভাজনে। জনসংখ্যার নিরিখেই নতুন প্রশাসনিক এলাকা, ঠিক করা হয়। তার জন্য জনগণনার তথ্য ব্যবহার করা হয়। এই স্থগিতাদেশ ৬ মাসের জন্য জারি হয়। যার অর্থ, জুন পর্যন্ত এমন কোনও কাজ করা যাবে না। আধিকারিকদের বক্তব্য, স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার অন্তত তিন মাস পর জনগণনা সংক্রান্ত কাজ শুরু হতে পারে। এই তিন মাস পার হতেই সেপ্টেম্বর চলে আসবে। 

সরকারি সূত্রের বক্তব্য, সেপ্টেম্বরের পর অন্তত দু’মাস আরও লাগবে প্রায় ৩০ লক্ষ কর্মীকে সারা দেশে বিভিন্ন স্তরে ভেঙে প্রশিক্ষণ দিতে। ২০২৪’র লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেব অনুযায়ী অক্টোবর থেকে শুরু করার কথা নির্বাচন কমিশনের। ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হবে। এই অবস্থায় সমান্তরালভাবে জনগণনার কাজ চালানো প্রায় অসম্ভব। 

রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সেনসাস কমিশনারের দপ্তরের আধিকারিকরা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন যে এবার ৩১টি প্রশ্ন সাজানো হয়েছিল ফরমে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে সেই ফর্মে তথ্য নেওয়ার কথা ছিল। সরাসরি কেউ তথ্য দিতে পারবেন, এমন ডিজিটাল সেনসাস পোর্টাল চালু হওয়ার কথা ছিল, তবে হয়নি।  স্মার্টফোন আছে কিনা, চারচাকার গাড়ি, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, কোন খাদ্যশস্য প্রধানত কোনও পরিবার নেয়- এমন বিভিন্ন প্রশ্ন ফরমে রয়েছে। 

Comments :0

Login to leave a comment