আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সিএনএন’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেনিয়ার কাজিয়াডো প্রদেশের আম্বোসেলি জঙ্গল এলাকায় মানুষ এবং পশুর সংঘাতে কেনিয়ায় গত ৭ দিনে প্রাণ হারিয়েছে ১০টি সিংহ। এরমধ্যে কেবলমাত্র শনিবার মারা গিয়েছে ৬টি প্রাণী। কেনিয়া ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস বা কেডাব্লিউএস’র তরফে জানানো হয়েছে, সিংহের হামলায় ১১টি ছাগল এবং ১টি কুকুর প্রাণ হারিয়েছে। মৃত সিংহগুলির মধ্যে কেনিয়ার প্রবীণতম সিংহ লুনকিটোও রয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ১৯ বছর।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভয়াবহ খরার মুখোমুখি হয়েছে কেনিয়া। খরার ফলে কেনিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল বসবাসের অযোগ্য হয়ে গিয়েছে। প্রাকৃতিক জলভান্ডারগুলি শুকিয়ে গিয়েছে। মাইলের পর মাইল হাঁটলে ঘাস ভর্তি মাঠের সন্ধান মিলছে। এই অবস্থায় গবাদী পশুর পাল রক্ষা করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে কেনিয়ার মাসাই সহ অন্যান্য আদিবাসীদের পক্ষে। অপরদিকে এই গবাদী পশুর উপরেই আদিবাসী গোষ্ঠীগুলির অর্থনীতি নির্ভরশীল। সেই কারণে গবাদী পশু রক্ষায় মরিয়া হয়ে উঠেছেন তাঁরা। এবং তারফলেই সংরক্ষিত বনাঞ্চল ছেড়ে বেরিয়া আসা সিংহগুলিকে মেরে ফেলেছেন আদিবাসীরা।
সিংহ মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতে আন্তর্জাতিক স্তরে বেকায়দায় পড়েছে কেনিয়া সরকার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আদিবাসী সমাজের মোড়লদের সঙ্গে বৈঠক করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ঠিক হয়েছে, সংরক্ষিত বনাঞ্চলে নজরদারি বাড়ানো হবে। একইসঙ্গে জঙ্গল থেকে সিংহ বেরিয়ে পড়ার খবর যত দ্রুত সম্ভব আদিবাসী গ্রামগুলিতে পাঠানো হবে, যাতে গবাদী পশু রক্ষার পর্যাপ্ত সময় পান তাঁরা।
এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘও। রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে মৃত সিংহগুলি ইউনেস্কোর কিলিমাঞ্জারো আগ্নেয়গিরি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ বনাঞ্চলের অংশ।
Comments :0