তুষার ঘোষ
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস রাজ্যবাসী প্রত্যক্ষ করেছেন। নবান্ন, নির্বাচন কমিশন, আইপিএস, বিসিএস, পুলিশের আইজি, এসপি, আইসি, ওসি, তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী, তৃণমূলের বাহুবলী দুষ্কৃতী, নব্য ধনীদের একাংশ, ধান্ধা পুঁজির পান্ডারা এককাট্টা হয়েছিল রাজ্যের গণতন্ত্রের সলিল সমাধি ঘটানোর জন্য। মনোনয়ন পর্ব, নির্বাচনী প্রচার পর্ব, নির্বাচনের দিন থেকে গণনা কেন্দ্র পর্যন্ত গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি বারে বারে অনাস্থা প্রকাশ করে চলেছে বিচার ব্যবস্থা। সাম্প্রদায়িক, অগণতান্ত্রিক, সংবিধান হত্যাকারী আরএসএস’র রাজনৈতিক মুখ বিজেপি’র বিরুদ্ধে গণতন্ত্র হত্যাকারী, আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত, লুম্পেন বাহিনী পরিবিষ্ট তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা ব্যানার্জির লোক দেখানো লড়াই করবার যোগ্যতা থাকতে পারে না। অন্যদিকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জীবন দিয়ে, রক্ত ঝরিয়ে, বাড়ি ছাড়া হয়ে, পঙ্গু হয়ে মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হয়ে হাজার হাজার বামপন্থী, কংগ্রেস, আইএসএফ কর্মী, দরদিরা প্রাণপণ প্রতিরোধ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এ লড়াই করেছেন। প্রতিবাদ প্রতিরোধে অসংখ্য মহিলা অংশ নিয়েছেন। এ লড়াই বৃথা যাবে না। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত উপলক্ষে লড়াইয়ের ইতিহাস স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের ক্ষেত্রে ভাঙড় এখন শিরোনামে। আমার জন্ম ভাঙড়ের মাটিতে। ভাঙড়ের মাটিতে ছাত্রাবস্থা থেকে কমিউনিস্ট পার্টির কর্মী হিসাবে কাজ করছি। তাই পাঠকদের কাছে ভাঙড়ের নারী-পুরুষের বীরত্বের কিছু কথা নিবেদন করছি। আমি নিশ্চিত বাংলার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ এই লড়াইয়ে গর্বিত অনুভব করবেন।
কলকাতার রাজভবন থেকে মাত্র ১৫ কিমি দূরে ভাঙড় শুরু। ভাঙড়-১ ও ২ নং ব্লকের ৮০% মানুষ কৃষিজীবী, শ্রমজীবী, হকার, ছোট ব্যবসায়ী, কুটির শিল্প, মৎস্যজীবী পেশায় যুক্ত। ভাঙড়-১ ব্লকের জনসংখ্যার ৬৭.৩৮% মুসলিম, ৩২.৩৮ হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত। ভাঙড়-২ ব্লকের জনসংখ্যার ৭০.৪৯ % মুসলিম, ২৯.২৬% হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত। হিন্দুদের মধ্যে প্রায় সবাই তফসিলি জাতিভুক্ত। ভাঙড়ের মানুষ একদিকে লড়াকু অন্যদিকে ধার্মিক কিন্তু ধর্মান্ধ বা সাম্প্রদায়িক নন। শতাধিক বছরের ইতিহাসে ভাঙড়ে কোনও দিন দাঙ্গা হয়নি। বাবরি মসজিদ ভাঙার সময় দেখেছি ভাঙড়ের মানুষের ঐক্যের ছবি।
ভাঙড়ের লড়াইয়ের ইতিহাস অনেক পুরানো। ৪০ দশকের শেষ ভাগে বাগজোলা খাল কাটার নামে জোর করে গায়ের জোরে কৃষকের জমি কেড়ে নেবার বিরুদ্ধে বিশাল কৃষক আন্দোলন, ৪০-৫০ দশকে মিলিটারিদের জন্য এয়ারপোর্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে তারদহে কৃষক বিদ্রোহ, তেভাগা আন্দোলনের রেশ ধরে একডজন গ্রামে কৃষকদের মরণপণ আন্দোলন, ৬০-৭০ দশকে খাস, বেনামি জমি উদ্ধারের আন্দোলন ভাঙড়ের ইতিহাসকে উজ্জ্বল করেছে। এসব আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন আব্দুল রেজ্জাক খান, প্রভাস রায়, নিত্যানন্দ চৌধুরি, খগেন রায়চৌধুরি, নরেন মণ্ডল, লতেমান মোল্লা, হৃদয় মণ্ডল, অমর নস্কর, পার্বতী মণ্ডল, কেশব নস্কর সর্বোপরি শিবদাস ভট্টাচার্য। রেজ্জাক মোল্লা ৭০ দশকে আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন যদিও তিনি ক্ষমতার লোভে বিচ্যুত হয়ে গণতন্ত্র হত্যাকারী তৃণমূলে যোগ দেন।
বামফ্রন্ট সময়কালে রাজ্যের সঙ্গে সংহতি রেখে ভাঙড়েও অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। ১৫ হাজার মানুষকে পাট্টা প্রদান, ১২ হাজার বর্গা রেকর্ড, কলেজ নির্মাণ, অসংখ্য ব্রিজ নির্মাণ সর্বোপরি লেদার কমপ্লেক্স গড়ে লক্ষাধিক মানুষের কাজের সংস্থান বামফ্রন্ট আমলেই হয়েছে। সালেমের রায়চক-বারাসত রাস্তাকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল— ভুল ঠিক যাই হোক তার মধ্য দিয়ে পার্টি ভাঙড়ের মানুষের সমর্থন কিছু পরিমাণ হারিয়েছিল। বামফ্রন্ট সরকারের সময়কাল ২০০৮ সাল থেকেই ভাঙড়ে তৃণমূলী সন্ত্রাস শুরু হয়।
তৃণমূলের অত্যাচারে অসংখ্য পার্টিকর্মী সর্বস্বান্ত হয়েছেন। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআই (এম) প্রার্থী জয়ী হন। ২০২১ সালের নির্বাচনে সংযুক্ত মোর্চার আইএসএফ প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। মাথায় হিজাব পরে, এনআরসি বিরোধী লম্বা চওড়া ভাষণ দিলেও ভাঙড়ের মানুষ মমতাকে প্রত্যাখ্যান করেন। তার পিছনে ছিল তৃণমূলের লাগামহীন অত্যাচার এবং সীমাহীন দুর্নীতি এবং মানুষকে ক্রীতদাস বানিয়ে রাখা। এরমধ্যে তৃণমূলী জুলুমের বিরুদ্ধে সংগঠিত হয়েছে পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলন, আন্দোলনে ২ জন শহীদের মৃত্যুবরণ করেন। ভাঙড়ের মাটি ফিরে পেতে মমতা সরকার অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী পথ গ্রহণ করতে শুরু করল। নির্বাচিত বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকীকে ভাঙড়ে ঢুকতে দেওয়া হল না ৬ মাস। আইএসএফ, সিপিআই(এম) করার অপরাধে শত শত কর্মীকে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তার, বিনা অপরাধে বিধায়ককে ৪২ দিন জেল বন্দি করে রাখা, বিরোধীদের কোনও সভা সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার মধ্যে দিয়ে মমতা প্রশাসন ভেবেছিল এইভাবে ভাঙড়ে বিরোধী নিকেশ করব। যত অত্যাচার বৃদ্ধি হলো জনগণের জেদ তত বাড়লো।
এর মধ্যে এসে পড়ল পঞ্চায়েত নির্বাচন। ৯ জুন সিপিআই(এম)’র ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে বিডিও অফিসে গেলেন। তাঁদের মেরে তাড়িয়ে দেওয়া হলো। সব ঘটলো ওসি’র সামনে। ১৩ জুন আইএসএফ, সিপিআই(এম )’র প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে গেলেন। সেদিন শুধুমাত্র ভাঙড়ের তৃণমূলী বাহুবলিরা পুলিশের প্রত্যক্ষ মদতে বোমাবাজি করে আটকাবার চেষ্টা করল। ভাঙড়ে তৃণমূলীরা ২ ঘণ্টা যুদ্ধ করবার পর জনপ্রতিরোধে পিছু হটল।
ঐদিন ১.৩০ মিনিটের পর ৩টা পর্যন্ত সবাই মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারলেন না। তৃণমূল বুঝলো মাত্র আরাবুল বাহিনী দিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল আটকানো যাবে না, তাই আটকানোর প্রস্তুতি শুরু হলো। বিরোধীরা নমিনেশন জমা দিলে হার নিশ্চিত জেনে ১৫ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন অংশ থেকে হাজারো সশস্ত্র দুষ্কৃতী জড়ো করল ভাঙড় বিডিও অফিসের ২০০ মিটার দূরে। যারা নমিনেশন দিতে আসছে তাদের উপর বোমাবাজি, গুলিবর্ষণ করছে তৃণমূল, অন্যদিকে পুলিশ আটকে রাখছে নমিনেশন দিতে আসা গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষদের।
কোর্টের নির্দেশ ছিল যারা নমিনেশন দেবে তাদের পুলিশ পাহারায় নিয়ে যেতে হবে। নবান্নের নির্দেশ ছিল, নমিনেশন জমা দেবার শেষ সময় পর্যন্ত আটকে রাখতে হবে নমিনেশন জমা দেবার জন্য আগত মানুষদের। নমিনেশনের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে, একথা বুঝে প্রায় ১০ হাজার মানুষ মরি মরব এই জেদ নিয়ে ছুটে গেল বিডিও অফিসের দিকে। সেই দেখে ভাড়াটে কাপুরুষ তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা যে যার মতো পালাতে বাধ্য হলো। কিন্তু পালিয়ে যাবার আগে ৩ জনকে হত্যা করল। ৩টে বেজে গেছে। গেট বন্ধ। বন্ধ গেটের বাইরে হাজারো জনতা। জনতার ভয়ে বিডিও গেট খুলে দিতে বাধ্য হলেন। যে তৃণমূলীরা সকাল থেকে পুলিশ এবং বিডিও’র সাহায্যে মস্তানি করছিল তারা জনগণের ভয়ে তিন তলায় উঠে গেলেন বাঁচার জন্য।
বিডিও হাসিমুখে নমিনেশন নিলেন। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে নামগুলি তুললেন, স্ক্রুটিনি করলেন ও প্রতীক বণ্টনও করলেন কিন্তু ২১ জুন বলা হলো সময়সীমার মধ্যে না দেবার জন্য আইএসএফ এবং সিপিআই(এম)’র ১০১টি নমিনেশন বাতিল। যদিও হাইকোর্টে মামলা এখন বিচারাধীন রয়েছে।
তারপর তৃণমূল প্রচার শুরু করল তারা প্রায় ১৫০টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেছে। কর্মী ও জনগণের মধ্যে কিছুটা হতাশা গ্রাস করল। এই সুযোগে কিছু দুর্বল জায়গায় তৃণমূল অত্যাচার শুরু করল পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে। এক্ষেত্রে তারা কিছুটা সফল হলো যেখানে তৃণমূল বাহিনীর নেতৃত্বে আবাসন প্রোজেক্ট গড়ে উঠেছে সে সমস্ত এলাকায়। এই সময় পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে অত্যাচার শুরু করল। এদের অত্যাচারে ৫-৭ হাজার মানুষকে বাড়ি ছেড়ে মাঠেঘাটে রাত্রি যাপন করতে হয়েছে। ভোটার লিস্ট ধরে গ্রেপ্তার চলল। যে মিটিংয়ে যাচ্ছে তাকেই গ্রেপ্তার করা হলো। যাদের ধরেছে তাদের তিন মাসের আগে জামিন হচ্ছে না। পুলিশি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন ভাঙড়ের মা-বোনেরা। গ্রামের নাম মাঝেরআইট। প্রতিদিন পুলিশ যায় আর ৩-৪ জন নিরাপরাধ মানুষ ধরে আনে। পুলিশ খুশিতে ডগমগ, কাজ হাসিল হচ্ছে জেনে। ভোটের ৭ দিন আগে গ্রামে অত্যাচার করতে পুলিশের ৫টি গাড়ি প্রবেশ করে। এই দেখে ২০০০’র বেশি মহিলা লাঠি ঝাঁটা নিয়ে এগিয়ে আসে। মহিলাদের রণমূর্তি দেখে পুলিশরা লেজ তুলে পালায়। এই গ্রামে পুলিশ পরবর্তী সময় ঢোকার স্পর্ধা দেখায়নি।
গ্রামের পর গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে গেছে। এগিয়ে এলেন মায়েরা। কোচপুকুর, চালতাবেড়িয়া, নিমকুড়িয়া, চণ্ডীতলা, ভুমরু, ভোগালিসহ একাধিক গ্রামে পুলিশ ও তৃণমূলের যৌথ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলে ভাঙড়ের গণতন্ত্রের লড়াইকে পুষ্ট করেছেন।
এই অবস্থায় ৫ জুলাই ভাঙড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলো। সভায় বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও নওসাদ সিদ্দিকী দৃপ্ত কণ্ঠে বললেন ষড়যন্ত্রের পর যে ক’জন প্রার্থী টিকে রয়েছে তাদের জেতাবার জন্য লড়াই করতে হবে। ১২ ঘণ্টার নোটিসে সভা। কোনও প্রচার নেই কিন্তু ১০ হাজার মানুষ হাজির।
ষড়যন্ত্রকারী শয়তানের দল সিদ্ধান্ত নিল যে সমস্ত এলাকায় তৃণমূল ভোট লুট করতে গেলে মানুষের প্রতিরোধে পালাতে বাধ্য হবে সে সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় ফোর্স দেওয়া হবে। যেখানে প্রতিরোধ দুর্বল সেখানে শুধু সিভিক পুলিশ দিয়ে ভোট করানো হলো। একটি জেলা পরিষদ আসনে প্রতিরোধের মাত্রা দুর্বল, সেখানে ৭১টি বুথের মধ্যে ৬৪টিতে বহিরাগত বাহিনী ঢুকিয়ে এজেন্ট তুলে দিয়ে ভোট লুট হলো। বাকি ৭টি বুথে মহিলারা বুথ ঘিরে থেকে ভোট করালেন। ফলাফল সিপিআই(এম) ৩ আইএসএফ ৪ তৃণমূল ০। ভাঙড়-২তে ভোট হয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের ২১৭টির মধ্যে ১১৮টি আসনে। তৃণমূল ও পুলিশের যৌথ আক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়নি ৪৬টি আসনে। ভোট করা গেছে এমন ৭২টি আসনের মধ্যে ৬৫টি আসন জয়লাভ করেছে আইএসএফ, জমি কমিটি ও সিপিআই(এম)।
গণনা কেন্দ্রে রাত ৯টার মধ্যে জেলা পরিষদের আইএসএফ প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হলো। রাত ১২টায় বিডিও ঘোষণা করেন টিএমসি প্রার্থী জয়ী হয়েছে। ষড়যন্ত্রের কথা শুনে রাতে হাজার হাজার গ্রামবাসী গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটার দূরে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারপর নিরীহ গ্রামবাসীর উপর পুলিশ গুলি চালিয়ে রেজাউল, রাজু, হাসানকে নির্মমভাবে হত্যা করে। একটি কথা বার বার বলা হয় বামফ্রন্টের সময় ভাঙড়ে ঠিক মতো ভোট হতো না। তাদের উদ্দেশ্যে বিনয়ের সাথে বলতে চাই সত্যটা সর্বদা সত্য। বামফ্রন্টের ভরা যৌবনে ভাঙড়ের তারদহ, বেওতা-১, পোলারহাট-১, চালতাবেড়িয়া, প্রাণগঞ্জ, জাওলগাছি, চন্দনেশ্বর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে বহু বার সিপিআই(এম) হেরেছে। সগৌরবে বিরোধীরা মেয়াদ পর্যন্ত পঞ্চায়েত পরিচালনা করেছেন। ২০০৬ সালে আরাবুল ইসলাম বিধায়ক হয়েছে। বামফ্রন্ট এমএলএ ভাঙানোর চেষ্টা করেনি।
গণতন্ত্রের লড়াইয়ে ভাঙড়বাসীর সংগ্রাম অমর হয়ে থাকবে। সারা রাজ্যে গণতন্ত্রের লড়াই এগিয়ে যাবে।
Comments :0