Post editorial on Panchayat election

ইতিহাসের চাকা পিছনে ঘোরাতে চায়

উত্তর সম্পাদকীয়​

মণীন্দ্র চক্রবর্তী
        

একেবারে পরিকল্পনা করেই, পঞ্চায়েত নির্বাচন যাতে তৃণমূলের অনুগত এবং তাঁবেদার পুলিশ প্রশাসনের তদারকিতে সম্পন্ন করা যায়, তার জন্য রাজ্য সরকার এবং সেই সরকারের সুপারিশক্রমে নিয়োগপ্রাপ্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার পক্ষে যত রকম অপচেষ্টা করা সম্ভব, সবটাই তাঁরা করেছেন। বিরোধীদের বিরুদ্ধে যে সন্ত্রাস নামিয়ে আনা হয়েছে, মনোনয়ন পর্ব থেকে প্রচার পর্ব পর্যন্ত, তা এমনকি আদালতকেও বারংবার ক্ষুব্ধ করছে। 
           প্রশ্ন হলো, কমিশনের এই বেহায়াপনা, এত ছলচাতুরির কারণ কী? সেটা কি নিছক শাসকদলকে বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েত গড়তে দেবার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য? যাতে আগামী পাঁচ বছর তারা অবাধে গ্রামের সম্পদ এবং উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ লুট করতে পারে? বোধহয় না। কারণ এই ত্রি-স্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সাথে জড়িয়ে রয়েছে গ্রাম বাংলার রাজনৈতিক ভারসাম্য। মনে রাখতে হবে, বামফ্রন্ট সরকার প্রবর্তিত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থা নিছক গ্রামোন্নয়ন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং তা কার্যকর করার মতো স্বশাসন নয়। প্রকৃতপক্ষে তা ছিল, গ্রামীণ জীবনের সামাজিক ও রাজনৈতিক ভারসাম্য পরিবর্তনের সংগ্রামের হাতিয়ার। 
       তেভাগা আন্দোলনের শিক্ষায় সমৃদ্ধ এরাজ্যের কৃষকদের জমির আন্দোলন ভূমি সংস্কারের দাবিকে একটা বাস্তব ভিত্তি প্রদান করেছিল। অর্জন করেছিল রাজ্যবাসীর নৈতিক সমর্থন। সেই জনমতকে সঙ্গে নিয়ে বামফ্রন্ট সরকার গঠিত হবার পর ভূমি সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। জোতদার জমিদারদের নামে বেনামে রাখা সিলিং বহির্ভূত জমি উদ্ধার করে সরকার ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে তা বণ্টন করে দিয়েছিল। জমির মালিকানার এই পরিবর্তন উৎপাদন সম্পর্কের পরিবর্তন ঘটালো গ্রাম বাংলায়। এতদিন যে ফসল যেত জোতদার জমিদারদের গোলায়, এখন তা আসতে শুরু করল কৃষকের ঘরে। পঞ্চায়েত কৃষকদের জন্য ভরতুকিতে একটু সার এবং উন্নত বীজের ব্যবস্থা করল, সারা বছর যাতে জমিতে জল মেলে তার জন্য একটু সেচের ব্যবস্থা করল। এতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিশাল পরিবর্তন এল। একইসাথে চলল গ্রামীণ সমাজে সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতা তথা শ্রেণি ভারসাম্য পরিবর্তনের সংগ্রাম। এই পরিবর্তনটা কায়েমি শক্তি মেনে নিতে পারেনি। ফলে প্রথম থেকেই তাদের চক্ষুশূল এই পঞ্চায়েত ব্যবস্থা। যে কোনও মূল্যে এই ব্যবস্থাকে উচ্ছেদ করার জন্য তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে একেবারে প্রথম দিন থেকেই। কিন্তু প্রতিবারই তাদের মানুষের গণতান্ত্রিক চেতনার সামনে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে ২০১১ সালের আগে পর্যন্ত। 
       কিন্তু রাজ্যে তথাকথিত পরিবর্তনের পর, কায়েমি শক্তির প্রতিনিধি হিসেবে তৃণমূল বেছে বেছে ঠিক সেই জায়গাগুলোতেই আঘাত হেনেছে, যাতে ইতিহাসের চাকাকে পিছন দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া যায়। যে কারণে প্রথমেই ওরা আক্রমণ আনল মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর। বাম আমলে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের মধ্যে দিয়ে মানুষের হাতে যে গণতান্ত্রিক অধিকার তুলে দেওয়া হয়েছিল, ক্ষমতায় এসে তৃণমূল মানুষের সেই গণতান্ত্রিক অধিকারগুলিকে নস্যাৎ করল। অবর্ণনীয় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে তারা গ্রামের গরিব মানুষের জমির পাট্টা কেড়ে নিতে শুরু করল। চাষের জমি থেকে উৎখাত করা, কৃষকের ফসল কেড়ে নেওয়া, জমি হাতিয়ে নেওয়া, তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকল। এমনিতেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন জনবিরোধী নীতির ফলে কৃষিতে আয় কমছিল। তার উপর যেটুকু সম্ভাবনা ছিল, অর্থাৎ বহু লড়াই- সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জমি এবং ফসলের উপর কৃষক যে মালিকানা অর্জন করেছিল, সেই জমি এবং ফসল আবার চলে গেল বড়লোকের দখলে। অনুব্রত মণ্ডলের মতো তৃণমূলের কেষ্টবিষ্টুরাই এখন গ্রাম বাংলার নব্য জমিদারে পরিণত হয়েছে। জমি থেকে চালকল সব তাদের দখলে। নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে কয়লা পাচার, গোরুপাচার সহ সমস্তরকম দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে জমিতে গোটা রাজ্য জুড়ে। হাজার হাজার বিঘা জমি এখন তৃণমূলী নেতা- নেত্রীদের দখলে। জমির উপর এই মৌরসিপাট্টা যদি বজায় রাখতে হয়, তাহলে তৃণমূলকে যে কোনও মূল্যে পঞ্চায়েতের দখল নিতেই হবে। তাই এত অস্ত্র, তাই এত সন্ত্রাস, তাই এত ছলাকলা, প্রশাসনকে ব্যবহার। 
          বাম আমলে ভূমি সংস্কারের যেটুকু সুফল কৃষক, খেতমজুর, বর্গাদাররা পেয়েছিলেন, আজ তা অতীত। অতীতে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বেকার যুবকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের স্বনিযুক্তি প্রকল্প, মহিলাদের জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠন করে মানুষের আয় বৃদ্ধি করার যে সদিচ্ছা বামফ্রন্ট সরকার দেখিয়েছিল, আজ তার অবশিষ্ট বলে কিছু নেই। ভয়ঙ্কর আক্রমণের মুখে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। এক সংস্থার ঋণ শোধ করার জন্য অন্য সংস্থা থেকে ঋণ নিতে নিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মহিলারা ঋণের জালে বাঁধা পড়েছে। বকলমে তৃণমূলের রাঘব বোয়াল পরিচালিত মাইক্রোফিনান্স সংস্থাগুলো ঋণগ্রস্ত মহিলাদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বিকার। এমনকি গ্রামের গরিব মানুষের শেষ ভরসা একশ দিনের কাজও বন্ধ। বকেয়া মজুরিটুকুও পাচ্ছেন না গরিব মানুষগুলি। গ্রামের অর্থনীতি আজ ধুঁকছে। এবং ধুঁকছে বলেই এরাজ্যের হাজার হাজার যৌবন প্রতিদিন নাম তুলছে পরিযায়ী শ্রমিকের খাতায়। 
        শুধু এই জাতীয় অপদার্থতাগুলিকে আড়াল করার জন্যেই কি তৃণমূল পঞ্চায়েতের দখল চাইছে? মোটেই নয়, ওদের পঞ্চায়েত চাই আরও বড় কারণে। 
        কৃষকের আয় বৃদ্ধি, কৃষিকাজে উন্নত বিজ্ঞান প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে যে মানুষগুলো জমিতে উদ্বৃত্ত হলেন তাদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীর কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে নতুন শিল্প স্থাপন ইত্যাদি কর্মসূচিগুলি কেবল রাজ্যবাসীর জীবনমানের মানোন্নয়নের জন্য বামেরা গ্রহণ করেননি। তারা চেয়েছিল, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে গ্রামের গরিব মানুষের যতটুকু আর্থিক সামাজিক ক্ষমতা ও গণতান্ত্রিক চেতনার বিকাশ ঘটেছে, তাকে সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে পরিচালিত ও সংগঠিত করতে। শাসক শ্রেণি এই দুঃসাহস কখনও মেনে নিতে পারে? সর্বশক্তি নিয়ে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ল বামেদের উৎখাত করার জন্য। পরাস্ত হলো বামফ্রন্ট। বামেদের পরাজয়ে উৎসাহিত শাসক শ্রেণি আক্রমণ সংগঠিত করল মানুষের মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত শিক্ষা স্বাস্থ্য কর্মসংস্থানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলির উপরে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, তৃণমূল রাজত্বে সবচাইতে উপেক্ষিত থেকেছে এই তিনটি বিষয়। 
         বামেরা দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত যে অবৈতনিক সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিল, তাকে লাটে তোলার জন্য যা যা করা দরকার, তৃণমূল সরকার তাই করছে। টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের শিক্ষক পদে নিয়োগ করার কুফল এখন ভোগ করতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। সাতাত্তরের পর এই প্রথম অবিশ্বাস্য হারে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণের সংখ্যা কমে গেল মাধ্যমিক, উচ্চ- মাধ্যমিকে। কেন এমনটা হলো? কোনও ব্যাখ্যা নেই! একে অযোগ্য শিক্ষক তার উপর, কিছু হলো কি হলো না, স্কুল ছুটি। তুঘলকি রাজত্ব চলছে শিক্ষা ক্ষেত্রে। বলাবাহুল্য, এগুলো করছে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভিতর থেকে ফোপড়া করে দেবার জন্য। ওরা জানে- শিক্ষা যুক্তিবাদ ও বিজ্ঞান চেতনার উন্মেষ ঘটায়। যে চেতনা পশ্চাৎপদতার বিরুদ্ধে কার্যকর এক শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে পরিণত হয়। যা ধর্মীয় মৌলবাদ এবং জাতপাতের বিরুদ্ধে শক্তপোক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কিন্তু ওই পশ্চাৎপদ ধ্যান ধারণাকে পুঁজি করে যারা রাজনীতি করে, তারা কখনোই চাইবে না বিভাজনের রাজনীতি মুছে যাক। তারা কখনোই চাইবে না যুক্তিবাদ ও বিজ্ঞান চেতনার উন্মেষ ঘটুক। বরং তারা চাইবে প্রগতিশীল শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে কুসংস্কারাচ্ছন্ন পশ্চাৎপদ এক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে। সেই লক্ষ্যেই কেন্দ্র সরকার নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি ঘোষণা করেছে। শিক্ষার আঙিনা থেকে চিরকালের মতো গরিব ছাত্র ছাত্রীদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করার ওই নীতিতে সম্মতি দিয়ে সম্প্রতি সরকারও নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে চার বছরের স্নাতক কোর্স চালু করেছে। 
        কোথায় যাবে তাহলে রাজ্যের গরিব ঘরের নতুন প্রজন্ম? রেজিস্ট্রেশনের পরেও যে চার লাখ ছাত্র ছাত্রী এবছর মাধ্যমিক দিল না, এরা কেউ আলালের ঘরের দুলাল নয়, সকলেই গরিব ঘরের সন্তান। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, অতিমারীতে কাজ হারানো পরিবারের সদস্য হিসেবে আয়ের সংস্থান করতে গিয়ে নিজেদের স্বপ্নকে অকালে বিসর্জন দিতে বাধ্য হয়েছে ওই ছাত্র ছাত্রীরা। সরকারকে পাশে পায়নি তারা। রাজ্যে নতুন কোনও কলকারখানা নেই। পুরনোগুলো একে একে বন্ধ হয়েছে। বন্ধ কারখানা খোলার উদ্যোগ নেবার পরিবর্তে বন্ধ কারখানার জমিতে আবাসন গড়তে বেশি আগ্রহ সরকারের। ফলে মানুষের হাতে কাজ নেই। পেটের দায়ে ভিন রাজ্যে ফসল কাটতে ছুটতে হচ্ছে এরাজ্যের যৌবনকে। ওডিশায় ট্রেন দুর্ঘটনা না ঘটলে প্রচার মাধ্যম এ তথ্য এতটা সামনেই আনতো না। আসলে, তৃণমূল আমাদের নিয়ে যেতে চায় সেই সমাজে, যে সমাজে মুচির ছেলের মুচি হওয়াটাই দস্তুর। যে সমাজের নির্মম চিত্র- ‘‘রাখাল গোরুর পাল লয়ে যায় মাঠে, শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে...।’’ রাখালও শিশু, কিন্তু গরিব বলে তাকে গোরু চড়াতে হবে। আর বড়লোকের ছেলে পড়াশোনা করবে। এই আর্থসামাজিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে জন্যেই ওরা পঞ্চায়েতের দখল চায়। 
    একই হাল স্বাস্থ্যে। গালভরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ঘোষণা আছে, কিন্তু পরিকাঠামো নেই। গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি ডাক্তারের অভাবে ধুঁকছে। ডাক্তার আছে তো পরিকাঠামো নেই। ঢাকঢোল পিটিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চালু হলো; বলা হলো সবাই নাকি এর সুফল পাবেন। কোথায় কি! বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তো অনেক দূরের কথা পিজি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই ওই কার্ড ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। চিকিৎসার জন্য দলে দলে মানুষ ছুটছেন দক্ষিণ ভারতে। উপেক্ষিত জনস্বাস্থ্য। বাম আমলে পুষ্টি, পরিস্রুত পানীয় জল, শৌচাগার, নিকাশি এবং রোগ প্রতিষেধক ব্যবস্থাগুলির উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হতো। আর আজ, প্রতি বছর বরাদ্দ কমানো হচ্ছে এই খাতগুলিতে। ওরা জানে অশক্ত দেহ মন নিয়ে আর যাই হোক, লড়াই করা সম্ভব নয়। তাই শিকেয় তোলা হয়েছে জনস্বাস্থ্যকে। এখনও যতটুকু অবশিষ্ট রয়েছে সেটাকে পুরোপুরি ধ্বংস করার জন্য তৃণমূল পঞ্চায়েতের দখল চায়। 
         একটা সময় ছিল, যখন পঞ্চায়েত এবং পৌরসভার মাধ্যমে গরিব মানুষের হাতে অর্পিত ক্ষমতা যাতে যথাযথভাবে এবং দক্ষতার সাথে সমাজের দুর্বলতর অংশের কল্যাণে প্রয়োগ করতে পারে তার জন্য গ্রামাঞ্চলে গ্রাম সভা, পৌর এলাকায় ওয়ার্ড কমিটির সভা ডেকে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হতো। আর আজ কীভাবে দুর্বলতর অংশের মানুষের ন্যূনতম অধিকারটুকু কেড়ে নেওয়া যায়, শাসকদল তার পরিকল্পনা করছে। ফলে লড়াইটা আজ খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার রক্ষার। সেই লড়াইয়ে পুলিশ- মিলিটারি যে কখনোই তাদের সাহায্য করবে না, এটা গরিব মানুষ ভালোই জানেন। তারা এও জানেন- যতই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক, রাজ্য প্রশাসন তাদের হাজার দুয়ারী দেখতে পাঠিয়ে দেবে। দর্শনীয় স্থান হিসেবে কোচবিহার রাজবাড়ি, বিষ্ণুপুরের টেরাকোটা মন্দির, দীঘা, দার্জিলিঙও মন্দ নয়। রাজ্য প্রশাসন ওই সমস্ত জায়গাতেও তাদের পাঠিয়ে দিতে পারে। সুতরাং লড়তে হবে নিজেদেরকেই। অবশ্যই নিজেদের কবজির জোরে। অধিকার রক্ষার সেই তাগিদের সামান্য ঝলক আমরা দেখেছি মনোনয়ন পর্বে। আহত হয়েছেন, রক্তাক্ত হয়েছেন তবু লড়াইয়ের ময়দানে ভুখা জনতা দাঁড়িয়েছিলেন অদম্য জেদ নিয়ে। বাকি দিনগুলিতেও সে লড়াই জারি থাকবে- বলছে প্রত্যয়ী গ্রাম বাংলা।


 

 

Comments :0

Login to leave a comment