TET

কড়া নিরাপত্তায় শুরু হতে চলেছে টেট পরীক্ষা

রাজ্য জেলা

ছবি- হুগলি জেলার জিরাট স্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকছে পরীক্ষার্থীরা। ছবি অভিক ঘোষ।

 

বারোটায় শুরু টেট পরীক্ষা। কড়া নিরাপত্তা মধ্যে হচ্ছে ২০২৩ সালের টেট পরীক্ষা। হুগলি জেলায় মোট ৩১ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে হুগলি জেলা প্রশাসন। হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জেলায় ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র ও চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটে ২৩ টি পরীক্ষা কেন্দ্র। জেলায় মোট ১২১৫০ জন পরীক্ষা দেবেন৷ হুগলির বিভিন্ন স্কুলে পরীক্ষার্থীরা এসে উপস্থিত হচ্ছেন। সকাল দশটা থেকে স্কুলের সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষার পর গেট খোলে। একে একে স্কুলে প্রবেশ করেন পরীক্ষার্থীরা।

চুঁচুড়া মল্লিকবাটি পাঠাশালা, হুগলি কলিজিয়েট স্কুল, চন্দননগর কানাইলাল, কৃষ্ণভাবিনী নারী শিক্ষা মন্দির, ব্যান্ডেল বিদ্যামন্দির, শ্রীরামপুর গার্লস হাইস্কুল, রমেশচন্দ্র গার্লস, মাহেশ হাইস্কুল, জিরাট কলোনী হাইস্কুল সহ সব পরীক্ষা কেন্দ্রে রয়েছে কড়া পুলিশি ব্যবস্থা। অ্যাডমিট কার্ড দেখিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে পারছেন পরীক্ষার্থীরা।

পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার মুখে অ্যাডমিট কার্ড, আধার কার্ড দেখে বায়োমেট্রিক করে তবেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। গত বছর টেট পাস করে চাকরি না পেয়ে এবারেও পরীক্ষা দিতে দেখে গেলো বহু পরীক্ষার্থীকে। কেউ বলছেন আগের থেকে যদি নম্বর বাড়ে সেই আশায় এবারে টেট দেওয়া, আবার অনেকের ভয় যদি আগের বারেরটা বাতিল হয় সেই আশায় এবারে টেট দেওয়া। বলছেন সরকার চাইলে চাকরি পাবো,তবে কোন আশা দেখছিনা।এক পরীক্ষার্থী জানায় নিজের অভিজ্ঞতা বাড়ানোর জন্যই পরীক্ষায় বসা।

টেট দিতে আসা প্রার্থীদের দাবী পরীক্ষা যেমন হচ্ছে তেমন প্রতি বছর নিয়োগ হোক। আইনি জটিলতায় নিয়োগ আটকে থাকলেও পরীক্ষা হচ্ছে।পাশ করা প্রার্থীরা জানেন না কবে হবে নিয়োগ।


এবার ৩ লক্ষ ১০ হাজার জন পরীক্ষার্থী টেট বসতে চলেছেন। টেট পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য অতিরিক্ত মেট্রো চলবে বলে জানানো হয়েছে। টেট নিয়ে ইতিমধ্যে প্রাথমিক পর্ষদ যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে তাতে জানানো হয়েছে কোন বিষয়ের জন্য কী কী সিলেবাসে থাকবে। পাশাপাশি প্রশ্ন কেমন হবে, সেটিও বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পর্ষদ। 

তবে, নজিরবিহীনভাবে এবারের টেটের পরীক্ষার্থী কমে গেছে। এবার পরীক্ষায় বসবেন গতবারের তুলনায় অর্ধেক পরীক্ষার্থী। গতবার টেটের আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৬ লক্ষ ৯০ হাজার। এবার কমে তা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ১০ হাজারের কাছাকাছি।

২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর অনলাইনের মাধ্যমে টেটের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল এবং ৪ অক্টোবর আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। প্রায় ১১ হাজার শূন্যপদের জন্য টেট হবে বলে জানা যাচ্ছে।

রাজ্যের প্রায় ৮ হাজারের বেশি প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক স্কুল বন্ধ হতে চলেছে। এই স্কুলগুলি বন্ধ হলে শিক্ষকের চাহিদা কমতে বাধ্য।

টেটের প্রশ্নপত্র নিয়ে পর্ষদ জানিয়েছে মোট ১৫০ নম্বরের টেট হবে। প্রশ্নপত্র থাকবে ১৫০টি। কোনোরকম নেগেটিভ মার্কিং থাকছে না। প্রথম ভাষা ও দ্বিতীয় ভাষার প্রশ্ন পত্র ছাড়া বাকি প্রত্যেকটি প্রশ্নপত্রই বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে প্রশ্ন করা হবে। আড়াই ঘণ্টা ধরে হবে এই পরীক্ষা। পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট ও প্যাডাগোরি থেকে ৩০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রথম ভাষা থেকে ৩০টি প্রশ্ন দ্বিতীয় ভাষা থেকে ৩০টি, অঙ্ক থেকে ৩০টি, এবং পরিবেশবিদ্যা থেকে ৩০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রাথমিক পর্ষদ জানিয়েছে, দুপুর ১২টা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত পরীক্ষা হবে।


 

 

Comments :0

Login to leave a comment