সন্তানের বয়স পনের দিন। মা প্রার্থী সিপিআই(এম)’র। শনিবার ভোট লুটেরাদের মুখে সাহস হারাননি মা। আক্রান্ত রামান্তি এখন হাসপাতালে। শিশু সন্তানকে নিয়েই এখন হাসপাতালে রামান্তি মুণ্ডা।
নাগরাকাটা ব্লকের শুল্কাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের খয়েরবাড়ির ২১/১৮০ নম্বর বুথে প্রার্থী রামান্তি। বলছেন, জানা ছিল তৃণমূল ভোট লুটতে বাহিনী পাঠাবে। হলও তাই। এলাকার পার্টিকর্মীরা বলছেন, হিংস্র বাহিনীর দাপাদাপি চালালেও পিছিয়ে আসেননি রামান্তি। এগিয়ে গিয়ে বাধা দিয়েছেন।
তারপর?
রামান্তিকে মারধর করতে এতটুকু বাধেনি দুষ্কৃতীদের। চলে মারধর। পেটে মারা হয় লাথি। ছিঁড়ে দেওয়া হয় পরনের কাপড়।
আহত রামান্তি মুন্ডা এখন হাসপাতালে। সঙ্গে শিশুসন্তান।
শনিবার রাজ্যের সর্বত্র এমন বাহিনীকে দেখা গিয়েছে। বস্তুত ভোটের আগেই ভোটলুট শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দশম পঞ্চায়েত নির্বাচন যদিও দেখিয়েছে ভয় দেখালেই সবাইকে ভয় পাওয়ানো যায় না। কড়া প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে বাইকবাহিনী। সশস্ত্র বাহিনীর হামলায় খানিক পিছু হটতে হলেও বহু জায়গায় গ্রামে রাস্তায় নেমেছেন দলে দলে মানুষ। কোনও রকমে পালাতে দেখা গিয়েছে বাহিনীকে।
মঙ্গলবার ভোটগণনা। গণনাকেন্দ্রের সুরক্ষা নিয়েও রয়েছে সংশয়। সংশয় রয়েছে স্ট্রং রুম নিয়ে। গ্রামবাসীদের সতর্কতাও রয়েছে। সতর্ক থাকার ডাকই দিয়েছে বামফ্রন্ট। গণনা কেন্দ্রে জনতার রায় লুটের চেষ্টা রুখতে সজাগ থাকার ডাক দিয়েছে। দরকারে সাহসী প্রতিরোধেরও।
নাগরাকাটার রামান্তিরা সাহস জোগাচ্ছেন হাসপাতালের বেডে বসেই।
Comments :0