নিয়োগ দুর্নীতিতে ফেঁসে সিপিআই(এম)’র চিরকুট খুঁজে বের করার হুমকি দিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী। এবার নিজের দলের বিধায়কের চিরকুটে চাকরীর সুপারিশ সামনে এসে পড়ায় রীতিমত বেকায়দায় শাসকদল। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যখন সরগরম গোটা রাজ্য, তখন উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সামনে এল ২০২০ সালের এক সুপারিশপত্র। ১৪. ২.২০২০–র ওই পত্রে দেখা যাচ্ছে, বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিক একটি বিধায়ক প্যাডে সরকারি প্রাথমিক স্কুলে চাকরির জন্য ১১ জনের নাম সুপারিশ করেছিলেন। জানা গিয়েছে, ওই সুপারিশপত্র তিনি পাঠিয়েছিলেন তদানীন্তন শিক্ষামন্ত্রী অধুনা জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। যদিও এই চিঠির সত্যতা যাচাই করা হয়নি।
স্বাভাবিকভাবেই এই সুপারিশপত্র নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রমাণিত হয়েছে এরাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে কী ভয়াবহ দুর্নীতি করেছে শাসকদল। ববর্ধমান বাসীর অভিযোগ, বিধায়কের এই চিঠি নিয়ে তাঁকে জানাতে হবে কত টাকায় এই চাকরিগুলি বিক্রি হয়েছে? এটা জানার অধিকার এই রাজ্যের বেকার যুবক–যুবতীদের আছে। মঙ্গলবার এনিয়ে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি চলাকালীন বিধায়ক নিশীথ মালিকের প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়। তিনি বলেন, এব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে জানাব।
তবে এই সুপারিশপত্র প্রকাশ্যে আসায় যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়েছে শাসক দল। রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, এরকম চিঠি আমি এখনও দেখিনি। বাজারে ঘোরা ওরকম চিঠি নিয়ে বলার আগে আমাকে জানতে হবে। তবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা (যিনি বিধায়ক নিশীথ মালিকের বিরোধী বলে পরিচিত) বলেন, এই চিঠি হিমশৈলের চূড়া মাত্র। আরও অনেক কিছুই এবার সামনে আসবে।
Comments :0