Ranji Trophy

মহারাষ্ট্রের কাছে শেষ বলে হার বাংলার

খেলা

বিজয় হাজারেতে ফের হার বাংলার। টানটান ম্যাচে মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সেই শেষ বলে হারতে হলো লক্ষ্মীরতন শুক্লার দলকে। ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের মহারাষ্ট্র তিন উইকেটে জিতে শীর্ষস্থান মজবুত করল। প্রতিযোগিতার তৃতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় হারে পরের পর্বে যোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ল বাংলা। মুম্বাইয়ের পর মহারাষ্ট্র, শক্তিশালী দলগুলির বিরুদ্ধে বিপাকে পড়তে হচ্ছে কেন? ম্যাচ বের করতে অসুবিধে হচ্ছে কোথায়? দ্রুত এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করুক টিম থিঙ্কট্যাঙ্ক। না হলে, প্রতিযোগিতা যত এগবে অথবা বাকি মরশুমে সমস্যায় পড়বে বাংলা। 
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন। ওপেনার সুদীপ ঘরামির অনবদ্য শতরান ও শাহবাজ আহমেদের অপরাজিত অর্ধশতরানের সুবাদে বাংলা নির্ধারিত ৫০ ওভারে তোলে ২৭৯/৬। এবং দুই ঋত্বিক ছাড়া কেউ বলার মতো রান পাননি। ব্যর্থ তিন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার অভিমন্যু(২), অনুষ্টুপ মজুমদার(১৫)ও মনোজ তিওয়ারি। চলতি প্রতিযোগিতায় দু’ম্যাচে ব্যাট হাতে নেমেও বড় রান করতে পারেননি অভিজ্ঞ অভিমন্যু ও অনুষ্টুপ। 
ঋত্বিকের পরিবর্তে এদিন ওপেনিং করতে নামেন সুদীপ। এবং বিপর্যয়ের মুখে ঝকঝকে একটি শতরান করে সুযোগটিকে দারুণভাবে কাজে লাগালেন। একপ্রান্তে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ে গেলেও টিকে ছিলেন। শাহবাজের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটের জুটিতে তোলেন ৯১। ব্যক্তিগত ১২৭ রানে যখন আউট হন, দল তখন সুবিধাজনক জায়গায়। সুদীপ তাঁর ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১১ টি চার ও দু’টি ছয়ে। মাঝে ঋত্বিক চৌধুরির(২৯) অবদান অস্বীকার করা যায় না। ৪৬/৩ হয়ে যাওয়ার পর সদীপের সঙ্গে জুটি না গড়লেও এদিনও কম রানের মধ্যে অলআউট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল বাংলার। মঙ্গলবারও ‘ক্রাইসিস ম্যানে’র ভূমিকা পালন করলেন শাহবাজ। চাপ সামলাতে তিনি যে সিদ্ধহস্ত বারবার প্রমাণ দিচ্ছেন। সুদীপ আউট হওয়ার পর, অগ্নিভ ও ঋত্বিক চ্যাটার্জীদের সঙ্গে নিয়ে দলকে ২৭৯ অবধি নিয়ে গেলেন। শেষ অবধি ৬৪ বলে ৬২ রানে অপরাজিত ছিলেন। ঋত্বিকের ছোট্ট ক্যামিও ইনিংস (১৭ বলে ২২)। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসে খেলা মহারাষ্ট্রের দুই বোলার মুকেশ চৌধুরি ও রাজবর্ধন হাঙ্গেরেকর দু’টি করে উইকেট পান। 
রান তাড়া করতে নেমে মহারাষ্ট্রের শুরুটা ভালো হয়নি। রাহুল ত্রিপাঠীকে দ্রুত ফেরান গীত পুরি। এদিনও বল হাতে নজর টেনেছেন পুরি (১০-০-৩৪-১)। শুরুর ধাক্কা সামলে দেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও কেদার যাদব। আহত ও অবসৃত হওয়ার আগে অবধি যাদবের ৪২ রানের ইনিংস মোমেন্টাম পাইয়ে দেয় মহারাষ্ট্রকে। ছন্দে থাকা ঋতুরাজ অর্ধশতরান করতে পারেননি আট রানের জন্য। তিনি স্পিনার প্রদীপ্ত প্রামাণিকের শিকার। বড় রান তাড়া করতে নামলে প্রয়োজন হয় জুটির। বাংলার বোলাররা মহারাষ্ট্রের জুটি গড়া আটকাতে পারেননি। শেষদিকে উইকেট পড়লেও ভিত আগেই গড়ে ফেলেছিল মহারাষ্ট্র। পাঁচ নম্বরে নামা আজিম কাজি(৯৭ বলে ১০৬) শতরান করে দলকে জিতিয়ে দেন। সৌরভ নাভালের(৩৪) অবদান থাকলেও দলকে একাই টেনেছেন তিনি। দু’বল বাকি থাকতে কাজি আউট হয়ে গেলেও শেষ বলে হাঙ্গেরেকর ছয় মেরে মহারাষ্ট্রকে জিতিয়ে দেন।
 

Comments :0

Login to leave a comment