লকডাউনের সময় টানা তেইশ দিন আমেদাবাদ থেকে পায়ে হেঁটে বর্ধমানের পূর্বস্থলী পৌঁছেছিলেন। সেই শরিফুল শেখ ইনসাফ যাত্রার স্থায়ী পদযাত্রী।
শুক্রবার পদযাত্রার ৫০তম দিনে গড়িয়ার মিতালী সংঘের মাঠে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, "গুজরাটে দিন মজুরের কাজ করতে গিয়েছিলাম। দাদা এই রাজ্যে কাজ নেই। সেখানে গিয়ে করোনার সময় হঠাৎ করে সব বন্ধ করে দিল। কী করব, বাড়ি তো আসতে হবে। পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরি।"
বাড়িতে ছোট ছেলে মেয়ে আছে। স্ত্রী তাঁর সঙ্গে থাকেন না। শরিফুল বললেন, "বাইরে আর কাজ করতে যাইনি ছেলে মেয়ে গুলোর কথা ভেবে।"
এখন কী করেন?
বললেন, ‘‘যে কাজ করতাম, জোগারের কাজ।’’
সব সময় কাজ থাকে?
‘‘থাকে না, যখন থাকে তখন করি।’’
ইনসাফ যাত্রায় কেন?
শরিফুল বলছেন, ‘‘যে দুই সরকার চলছে, এখানে আর দিল্লিতে, এরা আমাদের সব শেষ করে দিচ্ছে। কাজ নেই ভাই। মীনাক্ষীদিরা তো মানুষের জন্য নেমেছে। তাই আমিও হাঁটছি।’’
Comments :0