বিকেলেই পেশ হবে আগামী অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেট। অর্থ দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বাজেট পেশ করার কথা। তার আগে বিধানসভায় হবে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক।
২০২৬’র বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই বাজেটে ঘোষণা কী থাকে তা নিয়ে রয়েছে আলোচনা।
চলতি অর্থবর্ষ, ২০২৪-২৫’র বাজেট ঘোষণাতেই রাজ্যের পুঞ্জীভূত ঋণ প্রায় ৭ লক্ষ কোটি টাকায় দাঁড়ানোর তথ্য ছিল। তৃণমূল কংগ্রেস ২০১১-তে সরকারে আসীন হওয়ার আগে, স্বাধীনতার পর থেকে মোট পুঞ্জীভূত ঋণের অঙ্ক ছিল ২ লক্ষ কোটি টাকার কম। আর তৃণমূল সরকারের মেয়াদে, পনেরো বছরের কম সময়ে তা লাফিয়ে বেড়ে হয়েছে প্রায় সাত লক্ষ কোটি টাকা।
সে কারণেই বাজেট বক্তৃতায় কত ঋণ নেওয়ার ঘোষণা রাজ্য করছে, নজর থাকবে সেদিকে। কারণ শেষ বিচারে এই ঋণ মুখ্যত পরোক্ষ কর বা জরিমানার মাধ্যমে আদায় করা হবে আমজনতার থেকেই।
আলোচনা রয়েছে ‘আমার বাড়ি’ এবং ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ এই দুই প্রকল্প নিয়ে। ২০২১’র বিধানসভা নির্বাচনে আগগে চালু করা হয়েছিল মহিলাদের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। ২০২৪’র লোকসভার আগে, এই ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়। তফসিলি জাতি এবং আদিবাসী পরিবারের জন্য ভাতা ১২০০ টাকা মাসে। এই বাজেটে ভোটের আগে ফের ৫০০ টাকা বাড়ানো হতে পারে বলে একাংশের অনুমান।
গত বাজেটে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কেন্দ্রীয় বনঞ্চনার কথা বলে ‘আমার বাড়ি’ প্রকল্পে বরাদ্দের ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০২৬’র বিধানসভা ভোটের আগে এই প্রকল্পে জোর দেওয়ার আরেকটি কারণ তৃণমূল কংগ্রেস এবং পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন্দ্রের আবাস যোজনা প্রকল্পে দেখা গিয়েছিল উপভোক্তা তালিকায় বিপুল কারচুপি। প্রকৃত বঞ্চিতদের নাম বাদ দিয়ে পাকা বাড়ির রয়েছে এমন পরিবারে বরাদ্দ হয়েছে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের কারণে। গ্রামাঞ্চলে তা নিয়ে ক্ষোভও রয়েছে।
রাজ্যে বড় সঙ্কট কর্মসংস্থানের। বিশেষত আয় এবং রোজগারের নিশ্চয়তা আছে এমন কাজের। ক’দিন আগে শিল্প সম্মেলন থেকে বিনিয়োগের ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর তথ্যের সঙ্গে বাস্তব অভিজ্ঞতায় নতুন বড় শিল্প কারখানা এবং কর্মসংস্থানের মিল খুঁজে পাওয়া কঠিন। শিল্প এবং কাজ সম্পর্কে বাজেটে কী বলা হয় সেদিকেও তাকিয়ে থাকবেন রাজ্যের যুবরা।
রাজ্যে এখন সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ১৪ শতাংশ। কেন্দ্রের সঙ্গে ফারাক ৩৯ শতাংশ বিন্দুর। সেই ফারাক কমাতে আদৌ কোনও ঘোষণা থাকে কিনা নজর রয়েছে সেদিকেও। কারণ ডিএ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাজারে চাহিদা বাড়িয়ে উৎপাদনের সুযোগ এবং সম্ভাবনা বাড়ে।
State Budget 2025-26
রাজ্য বাজেটে নজর থাকছে ঋণ, ডিএ-তেও
×
Comments :0