MINAKHA ATTACK

মীনাখাঁয় সিপিআই(এম) দপ্তরে ঢুকে হামলা, রক্তাক্ত নেতৃবৃন্দ

রাজ্য জেলা

MINAKHA ATTACK মীনাখাঁয় রক্তাক্ত পার্টিনেত্রী সোমা দাস। ছবি ও ভিডিও: প্রবীর দাস

মীনাখাঁয় সিপিআই(এম) দপ্তরে মারাত্মক হামলা চালালো তৃণমূলের দুষ্কৃতীবাহিনী। হামলায় রক্তাক্ত হয়েছেন সিপিআই(এম) নেত্রীবৃন্দ। মহিলা আন্দোলনের নেত্রী সোমা দাসের মাথা ফেটে গিয়েছে। 

সোমবার বামফ্রন্ট প্রার্থী এই দপ্তরে বসেই মনোনয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বামফ্রন্ট প্রার্থীরা। কয়েকঘন্টা দপ্তর ঘিরে রাখার পর ঢুকে পড়ে লাঠি ইট হাতে দুষ্কৃতীবাহিনী। চালায় হামলা। তখনই আহত হন পার্টিকর্মী এবং নেতৃবৃন্দ। ৬-৭ জনের আঘাত গুরুতর।

সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য সায়নদীপ মিত্র ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন। তিনিও ছিলেন মীনাখাঁর দপ্তরে। মিত্র বলেছেন, ‘‘পুলিশের সামনেই সংগঠিত হামলা হয়েছে কয়েক ঘন্টা ধরে। পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখেছে। তৃণমূলের হামলায় পুলিশ সহযোগী। ভোট হলে হারবেই, তাই তৃণমূল মনোনয়ন আটকাতে মরিয়া।’’ 

সোমবারই মীনাখাঁয় পঞ্চায়েতের তিন স্তরেই প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা নেওয়ার প্রস্তুতি নেন। সিপিআই(এম) দপ্তরে ফর্ম ভরার কাজ চলছিল। তারপর মিছিল করে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা ছিল। সকাল দশটা থেকে আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দুষ্কৃতীবাহিনী জড়ো করতে থাকে তৃণমূল। ঘিরে ফেলে সিপিআই(এম) দপ্তর। প্রাথমিক প্রতিবাদে সেই বাহিনী পিছু হটে। কিছুক্ষণের মধ্যে আরও দুষ্কৃতী জড়ো করে। 

সাড়ে এগারোটার কিছু পর থেকে সিপিআই(এম) দপ্তর থেকে বেরনোর সব রাস্তা আটকে দেওয়া হয়। বাসন্তী হাইওয়ে যাওয়ার রাস্তা, বটতলা স্কুল রোড, ইটভাটার রাস্তা- আটকে দেওয়া হয় সবই। গণতন্ত্রের প্রতি আস্থার যে সব ভাষণ তৃণমূল প্রধান এবং তাঁর সঙ্গীরা দিচ্ছেন, কত বড় মিথ্যাচার, তার আরেকটি নমুনা এদিন দেখিয়েছে মীনাখাঁ।

সোমবারই উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির ‘নবজোয়ার যাত্রা’। সেখানে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, সকাল থেকে সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ পরপর ফোন করলেও আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে ফেলার এমন ঘটনাতেও প্রয়োজনীয় সংখ্যায় পুলিশ পাঠায়নি। যে কয়েকজন পুলিশকর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছিল, নীরব দর্শকের ভূমিকা নিয়েছেন তাঁরা। কার্যত সহযোগী হয়েছেন দুষ্কৃতীবাহিনীর হামলায়। এমনকি সিপিআই(এম) দপ্তরের সামনে দাঁড়ানো বাইকও ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীবাহিনী। একাধিক বাইক আবার নিয়েও গিয়েছে।

সোমা দাসের মাথায় তিনটি সেলাই পড়েছে। যুবনেতা রানা রায়ও আহত। পার্টি দপ্তরে ছিলেন সৌরভ চক্রবর্তী। একাধিক নেতা কর্মী আক্রান্ত। 

মীনাখাঁ অঞ্চলে রাজ্যের অন্য জায়গার মতো তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। বামপন্থীদের পরপর প্রচার কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়াও মিলেছে। বামপন্থী নেতৃবৃন্দ বলছেন, ভোট হলেই হারবে। সে কারণে মনোনয়ন জমা দিতেই বাধা দিচ্ছে। ভোট তো পরের কথা। আর নির্বাচন কমিশন সব দেখেও চুপ করে বসে রয়েছে। 

Comments :0

Login to leave a comment