TMC-MLA

হাড়োয়ার পর দেগঙ্গা, কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে তৃণমূলের বিধায়ক

রাজ্য

TMC-MLA ছবি: তৃণমূলের দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে দেগঙ্গার বিধায়ক


উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার পর এবার দেগঙ্গা। তৃণমূলের দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে দলেরই বিধায়ক।  কার্যত পালিয়ে বাঁচলেন দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা মণ্ডল। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তা উদ্বোধন করতে গিয়ে ২০ এপ্রিল অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে একপ্রকার পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এবার ওই একই প্রকল্পে রাস্তা উদ্বোধন করতে গিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা মন্ডল। এনিয়ে যেমন তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে তেমনি শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

বুধবার বিকালে ঘটে ঘটনাটি। বিধায়ক রহিমা মন্ডল দেগঙ্গার হাদিপুর ঝিকরা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝিকরা এলাকায় একটি পিচের রাস্তা উদ্বোধন করতে যান। বিধায়ক রাস্তা উদ্বোধন করতে আসবেন এই খবর পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে স্থানীয় সদস্যরা কেউ জানে না। তাই বিধায়ক যখন ঝিকরা এলাকায় যাচ্ছিলেন আমতলা হাটের কাছে সকল সদস্যদেরকে নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান হারান দাস বিধায়কের গাড়ি আটকে দেয় এবং বিধায়কের কাছে জানতে চান তিনি রাস্তা উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন তাদেরকে জানানো হয়নি কেন? বিধায়ক কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে এক তৃণমূল কর্মী বিধায়ককে লক্ষ্য করে ক্ষোভের সাথে বলেন বিধায়কের জন্য তার হাতের আঙ্গুল উড়ে গেছে এখন কষ্ট হয়।  বিধায়ক যাদেরকে নিয়ে রাস্তা উদ্বোধন করছেন তারা দলের পদাধিকারী কেউ নয়। প্রায় ৩০ মিনিট বিধায়কের সঙ্গে তর্কাতর্কি ও কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন পঞ্চায়েত প্রধান সহ সদস্য। অবশেষে ঝিকরা এলাকায় রাস্তা উদ্বোধন করতে যাওয়া আটকে দেওয়া হয় বিধায়কের গাড়ি। বেগতিক পরিস্থিতি দেখে বিধায়ক রহিমা মন্ডল ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।স্হানীয়দের অভিযোগ তৃণমূল গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে জর্জরিত। রহিমা মন্ডল এলাকায় থাকেন না এবং কোন উন্নয়ন করেন নি। সাধারণ মানুষের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে হাদিপুর ঝিকরা এক নম্বর পঞ্চায়েত এলাক পঞ্চায়েত প্রধান ও মেম্বাররা তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনায়। তৃণমূলের নেতারা যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নবজোয়ার শুরু করেছেন। সেখানে দফায় দফায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরী  হয়েছে। এভাবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে গোষ্ঠী কোন্দল আর মারামারিতে তৃণমূল দলটি শেষ হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গেলে এমনই তির্যক মণ্তব্য ছুড়ে দেন গ্রামবাসীরা।

তবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিধায়ক রহিমা মন্ডল বলেন জেলার সভাপতির নির্দেশে হাদিপুর ঝিকরা এক নম্বর পঞ্চায়েতের ঝিকরা এলাকায় রাস্তা উদ্বোধন করতে যাচ্ছিলেন। আর এই ঘটনা তিনি অঞ্চল সভাপতিকে জানিয়েছিলেন। দলের মধ্যে যে গ্রুপবাজি  চলছে এর দায়ী তিনি নেবেন না। দেগঙ্গায় একাধিক রাস্তা উদ্বোধন করেছি কিন্তু কর্মীদের মধ্যে কি আছে সে বিষয়ে তিনি জানেন না। 

Comments :0

Login to leave a comment