RAFAH ATTACK GUTERRES

রাফায় হানার ছক গুরুতর শঙ্কার: গুতেরেস

আন্তর্জাতিক

আন্তোনিও গুতেরেস।

গাজার রাফা সীমান্তে নতুন দফায় হামলা চালাবে ইজরায়েল। গাজার দক্ষিণে মিশর সীমান্তের এই এলাকাতেই আশ্রয় নিয়েছেন অবিরত বোমাবর্ষণে গৃহহীন লক্ষ লক্ষ মানুষ। ইজরায়েলের পরিকল্পনায় বিপদসংকেত দিলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। 
গুতেরেস বলেছেন, ‘‘মানবিকতার দুঃস্বপ্ন হয়ে রয়েছে। রাফায় বোমাবর্ষণের পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। উত্তেজনা ছড়াবে মধ্য প্রাচ্যের অন্যত্রও।’’
অন্তত ১৯ লক্ষ মানুষ এখন রাফাতেই অস্থায়ী শিবিরে কোনোমতে মাথা গুঁজে রয়েছেন। ৭ অক্টোবরের পর ইজরায়েল প্রথমে হামাসের ঘাঁটি দাবি করে গাজার উত্তর অংশে লাগাতার হামলা চালায়। গাজার মানুষকে বলা হয় দক্ষিণে রাফার দিকে যেতে। ন্যূনতম মানবিক ব্যবস্থা না থাকা সত্ত্বেও মহিলা, শিশু সহ লক্ষ লক্ষ মানুষকে এই অংশেই ছুটে আসতে হয়েছে। দক্ষিণ অংশে উদ্বাস্তু শিবির খান ইউনিসের একের পর এক বসতি, হাসপাতাল, স্কুল গুঁড়িয়ে যাচ্ছে ইজরায়েলের হামলায়। এবার বেছে বেছে আশ্রয়হীন মানুষের বসতিতে বোমা ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছে ইজরায়েল। 
কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘আল জাজিরা’ জানিয়েছে যে হামাস তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের একটি খসড়া তৈরি করেছে। কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতায় এই কাজ হয়েছে। হামাসের প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে ধাপে ধাপে গাজা থেকে ইজরায়েলের সেনা প্রত্যাহার। বন্দি বিনিময়ের নতুন পর্ব শুরু করার প্রস্তাবও দিয়েছে হামাস। 
মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রয়েছেন ইজরায়েলে। এরপর কাতার এবং মিশরে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। জানা যাচ্ছে, হামাসের প্রস্তাব নিয়ে দু’দেশই আলোচনা করবে ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে। 
আমেরিকার সামরিক মদতেই পশ্চিম এশিয়ায় বেপরোয়া ইজরায়েল। এবারের সংঘাতেও আমেরিকা মদত জুগিয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে সংঘাতের বৃত্তে ইরানকে টেনে আনার প্রয়াসও চলছে। কিন্তু বিশ্ব জনমত ইজরায়েলের দখলদারি মানছে না। দেশের মধ্যেও গাজায় গণহত্যায় মদতের দায়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছে জো বাইডেন সরকার।

Comments :0

Login to leave a comment