কোন সুরে আজ বাঁধিবি যন্ত্র, কি মন্ত্র হবে গাওয়া
কৃশানু ভট্টাচার্য্য
কাশের বন, সাদা মেঘ, ঢাকের বাদ্যি সঙ্গে নিয়ে উমা আজ ফিরে যাবেন। সারা বছরের তন্ময়তা, অপেক্ষা আর অনেক কিছু চাওয়া পাওয়ার মধ্যে দিয়ে উৎসবের আজ শেষ। গত কয়েক দিনে মাঝ রাতে চাঁদের কাস্তে একটু একটু করে ধারালো হয়েছে। সমস্ত প্রতিকূলতার সঙ্গে যুদ্ধ করে যে যার নিজের মতন করে সময়কে জাপটে ধরেছে। কোন একটা মুহূর্ত ফসকে যাবার মত নয়।
এখন শুধু পূর্ণতার অপেক্ষা। অনেকে বলবেন, উমা চলে গেলে ঘর খালি হয়। শূন্যতা গ্রাস করে, মন উদাস হয়। সাদা পালতোলা নৌকা নদী দিয়ে এগিয়ে যায় মোহানার দিকে। নদীর বুকে তরণীর সে যাত্রাপথের সাক্ষীদের মন ভেসে যায় কোন সুদূরে।
আসলে কি সত্যিই উমা চলে যান? তিনি থাকেন আমাদের প্রতিটি প্রতীক্ষায়, আমাদের প্রতিটি অনুভবে, আমাদের প্রতিটি চাওয়া পাওয়ায়, আমাদের প্রতিটি কর্মকান্ডে। প্রতিনিয়ত তিনি আমাদের তৈরি করেন সংগ্রামের জন্য। এই চার দিন বারে বারে উচ্চারিত হয়েছে সংগ্রামে বিজয় চাই। বারেবারে উচ্চারিত হয়েছে সকলকে ভাল রাখার সকলে ভালো থাকার সদিচ্ছা। উমা আছেন তো এইসব ইচ্ছেগুলোর ভিতরেই।
তিনি আছেন, তিনি থাকবেন। আমাদের শুধু সুর আর বাণীকে একত্রিত করে লিখে নিতে হবে সময়ের গান, বেঁধে নিতে হবে যন্ত্র, গেয়ে উঠতে হবে সকলের মঙ্গল কামনার মন্ত্র। লোভ-লালসা, গ্লানি, হিংসা, দ্বেষ মুক্ত পৃথিবী নির্মাণের কর্মযজ্ঞ আজ আবার নতুন করে শুরু হোক।
আবার কাশের ক্ষেত আলো করে, ঢাকের বোলের তালে নাচতে নাচতে তিনি আসবেন নতুন রূপে , নতুন পৃথিবীতে।
Comments :0