agricultural workers Sandeshkhali

নিরাপদ সর্দার গ্রেপ্তারে দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক খেতমজুর ইউনিয়নের

জাতীয় রাজ্য

রবিবার বিকেলে মালদহের গাজোলে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল।

সংগ্রামের মুখ নিরাপদ সর্দারের গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়ন। ভুয়ো মামলা প্রত্যাহার এবং সংগঠনের রাজ্য সম্পাদকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। 
সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের সভাপতি এ বিজয়রাঘবন এবং সাধারণ সম্পাদক বি বেঙ্কট বলেছেন, ‘‘এই গ্রেপ্তারি বেআইনি। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে। তৃণমূল এবং তাদের সন্ত্রাস, দুষ্কৃতীরাজের বিরুদ্ধে সংগ্রামে নেমেছেন উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির জনতা। প্রতিবাদ দমানোর জন্য ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’
সংগঠন মনে করিয়েছে যে ৮ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালিতে বিক্ষোভ ব্যাপক আকার নেয়। রাস্তায় নামেন দলে দলে মহিলারা। শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারকে গ্রেপ্তার করার দাবিতে থানার সামনে আছড়ে পড়ে বিক্ষোভ। এই অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। ওই দিনই তৃণমূলের নেতা শিবু হাজরার অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয় নিরাপদ সর্দার এবং শতাধিক প্রতিবাদীর নামে। 
বিজয়রাঘবন বলেছেন, ‘‘৮ফেব্রুয়ারি নিরাপদ সর্দার ছিলেন বীরভূমে। পথ দুর্ঘটনায় নিহত চার মহিলার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। মৃত খেতমজুর মহিলাদের পরিবারকে সহায়তা দিতে যান তিনি।’’
৫ জানুয়ারি ইডি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা গিয়েছিলেন তৃণমূলের নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে। ইডি আধিকারিকদের ঘিরে ধরে মারধর করে শাহজাহানের বাহিনী। তারপর থেকে পুলিশ এই তৃণমূল নেতাকে বেপাত্তা বলে দেখাচ্ছে। নিরাপদ সর্দার বলেছিলেন যে শাহজাহানকে সন্দেশখালিতেই আশ্রয় দিয়ে রেখেছে পুলিশ। কেন্দ্রের ইডি এই ঘটনার ১৯ দিন পর যায় তদন্তে! রাজ্যে রেশন দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নামতে হয়েছে কেন্দ্রের ইডি’কে। গ্রেপ্তার রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও। এই তদন্তেই তল্লাশি করতে গিয়েছিল ইডি। 
  খেতমজুর ইউনিয়ন বলেছে, ‘‘শেখ শাহজাহান এবং তার বাহিনী মহিলাদের দিনের পর দিন নির্যাতন করেছে। জবরদস্তি জমি দখল করে নিয়েছে। পাট্টা থাকা সত্ত্বেও লিজের নামে দখল করা জমিতে খোলা হয়েছে পোলট্রি, মাছের ভেড়ি। পুলিশের দায়িত্ব আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা, দুষ্কৃতী অপরাধীদের ধরা। পুলিশ তৃণমূলের এই অপরাধীদেরই আশ্রয় দিয়েছে। তার বিরুদ্ধেই সংগ্রাম চলছে সন্দেশখালিতে। কৃষক এবং খেতমজুরদের একাধিক লড়াইয়ের নেতা তিনি। তাই তাঁকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারারুদ্ধ করা হয়েছে।’’

Comments :0

Login to leave a comment