অভিজিৎ বসু
জলশূন্য পুরো এলাকা। পৌরপ্রতিনিধিদের জানিয়ে কোনও ফল হয়নি। রবিবার পানিহাটির ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষকে জলের দাবিতে নামতে হলো রাস্তায়। পথ অবরোধে পুলিশও লাঠি চালানোয় তুলকালাম বাঁধে স্থানীয়দের সঙ্গে। ঘেরাও হয়েছে কাউন্সিলরের বাড়িতে। পুলিশের লাঠিতে আহত হয়েছেন মহিলারা।
এদিন অক্ষয় তৃতীয়া থাকায় অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি ছিল অনেক বাড়িতেই। কিন্তু জলশূন্য অবস্থায় সব বাতিল করেই আন্দোলনে নামতে হয়েছে পানিহাটি ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। প্রধান দাবি পানীয় জল পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই। তার ওপর রাস্তার ও নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশা।
কাউন্সিলরের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ পানিহাটির ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ঠিক এক বছর আগে এই সুভাষ নগরের মানুষ সারাদিন অবরোধ করেছিলেন। সেই সময় পৌর প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পানীয় জলের ব্যবস্থা হবে। রাস্তাও ঠিক হবে। কিন্তু এক বছর পরেও কিছু হয়নি।
রবিবার সুভাষ নগরের মানুষ পথ অবরোধ করেন সকাল এগারোটা নাগাদ ক্ষেত্র হরি চ্যাটার্জি রোড এবং নিমাই চ্যাটার্জী রোডের সংযোগস্থলে। প্রায় দেড় ঘন্টার উপরে মানুষ পথ অবরোধ করে রাখেন। এর পরেই এই অঞ্চলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সোদপুর মধ্যমগ্রাম রোডে ঘোলা চণ্ডীতলা মোড়ে অবরোধ করেন। সোদপুর মধ্যমগ্রাম রোডে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিরাট পুলিশ বাহিনী লাঠিচার্জ করে। উত্তেজনা তীব্র হয়।
পুলিশের লাঠিতে আহত বাসিন্দারা সোজা চলে আসেন ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্যামলী দেব রায়ের বাড়ি আজাদিনগর কলোনিতে। বাড়ির সামনে ঘিরে বিক্ষোভ চলতে থাকে। তাঁরা বলতে থাকেন, পানীয় জল এবং রাস্তার কী হবে। পানিহাটি পৌরসভা এই সমস্যা কত দিনে মেটাবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সোদপুর মধ্যমগ্রাম রোডে ঘোলা চন্ডীতলা মোড়ে অবরোধ তুলে নেমে পুরুষ পুলিশ নির্বিচারে মহিলাদের মেরেছে। তিন মহিলা আহত হন। একজনের হাত কেটে যায়। এক মহিলার মোবাইল ফোন ভেঙে যায় বলে অভিযোগ।
Comments :0