শুভ্রজ্যোতি মজুমদার
‘‘গ্রাম জাগাও’’, ‘‘চোর তাড়াও’’,‘‘বাংলা বাঁচাও’’ বামপন্থীদের এই স্লোগানকে বাস্তব করতে জোট বেধেছেন মানুষ। বিনা লড়াই এ এক ইঞ্চি মাটি কাউকে ছেড়ে ছাড়া হবেনা এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে চুরি, দুর্নীতির আতুরঘর তৃণমূল ও সম্প্রদায়িক বিজেপি'কে পঞ্চায়েত থেকে উঠখাৎ করার শপথও নিয়েছেন। মানুষের একটাই প্রত্যাশা চোরের পঞ্চায়েত দাঙ্গাবাজের পঞ্চায়েত নয় মানুষের পঞ্চায়েত গড়ে উঠুক। সেই প্রত্যাশার কথা বলেই বামপন্থীদেরই পাশে চাইছেন বিঘাটী পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পালারা গ্রামের মানুষ।
বিঘাটী পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা যমুনা মালিক বলেই ফেললেন, ‘‘আমফানে আমার মাটির দেওয়াল খসে গেছে। এখন পাশে ত্রিপল খাটিয়ে থাকি বাবা। ছেলে বৌ নাতি এই ভাঙা বাড়িতে কোনরকমে থাকে। নাতিদের নিয়ে চিন্তা হয়। ৫-৬ বছর হয়ে গেলো বার বার জানিয়েছি বাড়ির কোন সুরাহা হয়নি। বাড়ির সমস্যার সাথে সাথেই এখানে নিকাশীর সমস্যা প্রচুর। একটু বেশি বৃষ্টি হলে জল জমে যায়। যমুনা মালিকের বৌমা জানান ছেলেপিলে নিয়ে থাকি জল বেয়ে বিশাক্ত সাপ কিলবিল করে খুব ভয় করে’’।
আরেক বাসিন্দা রঞ্জিত মালিক জানান, আমাদের ঘর সারাইয়ের জন্য পাঁচবার আবেদন করেছি সুরাহা হয়নি। আমি ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়েছি এই যোগ্যতায় পঞ্চায়েতে কাজের সুযোগ আছে কিন্তু এখন যা নিয়োগে দুর্নীতি হচ্ছে সাহস করে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারিনি।
গৃহবধু ঝুমা মালিক জানান, আমার নামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় টাকা এসেছিলো কিন্তু আমাকে না দিয়ে অন্যজনকে এই যোজনার টাকা বাড়ি করার জন্য দিয়েছে। বাড়ির অবস্থা তো দেখছেনই ত্রিপল ঘিরে মাটির মোটা ঢেলা দিয়ে আড়াল করে কোনক্রমে থাকছি।
পাশের বিঘাটী পঞ্চায়েতের ৩ নং আসন। ১২-১৩ টা বাড়ি রয়েছে মাটির, সর্বসাকুল্যে ২০ ২২টা পরিবার থাকেন ওই বাড়িতে সেখানেও একই অবস্থা। গ্রামীন বাসিন্দা বিকাশ মালিক, সঙ্গীতা মালিক, সোনালী মালিক জানালেন, বহুবার বলেছি বাড়ির অবস্থা এরকমই কোনরকমে নিজের পকেট থেকে খরচা করে শৌচালয় বানাতে পেরেছি। সেই প্রয়োজনটাও মেটায়নি পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত শুধু নিজের আখের ছাড়া কিছু বোঝেনা।
মানুষ প্রকাশ্যে বলছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েতের বদল চাই। বিজেপি- তৃণমূলের ভোট কাটাকাটির ছক বানচাল করে জয়ী করবো বামপন্থীদের বলছেন পালারা গ্রামের মানুষ। মানুষের একটাই প্রত্যাশা চোরের পঞ্চায়েত দাঙ্গাবাজের পঞ্চায়েত নয় মানুষের পঞ্চায়েত গড়ে উঠুক। সেই প্রত্যাশার কথা বলেই বামপন্থীদেরই পাশে চাইছেন গ্রামীন মানুষ।
Comments :0