Woman Found Chained In Maharashtra

মহারাষ্ট্রের জঙ্গলে শিকল বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার মহিলা

জাতীয়

মহারাষ্ট্রের সিন্ধুদুর্গ জেলার একটি গ্রামের এক রাখাল সন্ধ্যায় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় জঙ্গলের ভিতর থেকে কান্নার শব্দ শুনতে পায়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি খবর দেয় পুলিশে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক মহিলাকে উদ্ধার করে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের সিন্ধুদুর্গ জেলায়। মহারাষ্ট্রের সিন্ধুদুর্গ জেলার একটি জঙ্গলে লোহার শিকল দিয়ে একটি গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া ৫০ বছর বয়সী ওই মহিলার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টের ফটোকপি এবং তামিলনাড়ুর ঠিকানার একটি আধার কার্ড। এছাড়াও অন্যান্য নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে সোমবার পুলিশের এক আধিকারীক জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘ মহিলাকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে সাওয়ান্তওয়াড়ি একটি হাসপাতালে তারপর সিন্ধুদুর্গের ওরোসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মাহিলার মানসিক ও স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গোয়া মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। তিনি বিপদমুক্ত। চিকিৎসকরা তাঁর চিকিৎসা করছেন। তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছেন, আমরা তাঁর কাছে চিকিৎসার কাগজপত্র পেয়েছি।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ‘‘শনিবার সন্ধ্যায় সোনুরলি গ্রামে ওই জঙ্গলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন এক রাখাল। তিনি জঙ্গলের ভিতর থেকে কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে মহিলাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আরও একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। আমরা তামিলনাড়ুর ঠিকানা সহ তাঁর আধার কার্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টের ফটোকপি পেয়েছি। তাঁর নাম ললিতা কাই। তাঁর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তিনি কোন দেশের নাগরিক তা নিশ্চিত করতে সমস্ত নথি যাচাই করা হচ্ছে। পুলিশ ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের সাথেও যোগাযোগ করা হয়। মহিলা কথা বলার অবস্থায় নেই। কারণ তিনি দুর্বল, মনে চ্ছে কয়েক দিন ধরে কিছু খাননি। সেই সঙ্গে এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। আমরা জানি না যে তাঁকে কতক্ষণ বেঁধে রাখা হয়েছিল।’’ 
পুলিশের প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, মহিলাটি গত ১০ বছর ধরে ভারতে ছিলেন। পুলিশের আধিকারিক বলেছেন কারা তাঁকে জঙ্গলে শিকলে বেঁধে রেখে গিয়েছিল তা জানা যায়নি। তাঁর পরিজনদের সন্ধান করতে তামিলনাড়ু, গোয়া এবং অন্যান্য জায়গায় গিয়ে তথ্যের খোঁজে সন্ধ্যান চালাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

Comments :0

Login to leave a comment