Russia Ukraine War

ইউক্রেনে রাষ্ট্রপতি সেনাপ্রধানের দ্বন্দ্বে উদ্বেগ আমেরিকার

আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন।

ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সম্পর্কে ফাটল দেখা দিয়েছে। সম্পর্কে অবনতি আমেরিকার উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের সামরিক সংঘাতে নতুন কৌশলের খোঁজ করছে ওয়াশিংটন। 
এই মর্মে খবর প্রকাশ করা হয়েছে ‘ব্লুমবার্গ’-এ। কারণ ২০২৪’র রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে সঙ্গী ইউক্রেনের ‘সাফল্য’ খুঁজতে মরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের প্রশাসন। 
এর মধ্যে রাশিয়ার ‘আরটি নিউজ’ একটি প্রতিবেদনে জানাচ্ছে যে আমেরিকার বহুজাতিক ফাস্ট ফুড সংস্থা ‘সাবওয়ে’-কে যুদ্ধে মদতদাতার তালিকায় ঢুকিয়েছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়ার ফাস্ট ফুড চেন ব্যবসা চালানোয় রাশিয়ার কর বাবদ আয় বাড়ছে। সেই টাকা যুদ্ধাস্ত্র কিনতে খরচ করা হচ্ছে। 
‘ব্লুমবার্গ’-র খবরে দাবি, ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভালিদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছে সেনা প্রধান ভ্যালেরি জালুঝনির। দ্বন্দ্বের মাঝে ঢুকে পড়েছে আমেরিকার কৌশলও। রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাত শুরু হোয়ার পর থেকে ইউক্রেনকে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে চলেছে আমেরিকা এবং পশ্চিমী দেশগুলি। ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়া হলেও সামরিক কর্তাদের মতে ক্ষয়ক্ষতি প্রচুর। 
পর্যবেক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, রাষ্ট্রপতি এবং সেনাপ্রধানের দ্বন্দ্বের শুরু নভেম্বরে। টাইমস-কে দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য দিয়েছিলেন সেনাপ্রধান। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি জেলেনস্কি। আবার সেনায় নতুন লোক নেওয়ার জন্য একটি বিল পাশ হওয়ার কথা ইউক্রেনের সংসদে। কিন্তু বিল পাশে দেরি হচ্ছে। জেলেনস্কিকেই দায়ী করছেন দেশের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ স্তর। ক্ষুব্ধদের মধ্যে রয়েছেন জালুঝনিও। 
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই সোইগু আবার দাবি করেছেন যে ইউক্রেনের ২ লক্ষের বেশি সেনার মৃত্যু হয়েছে সংঘাতে। ভারী অস্ত্রশস্ত্রের ২৮ হাজার ইউনিট গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের বহু দেশ যদিও দু’দেশের শান্তিচুক্তির পক্ষে। সামরিক সংঘাত অবসানেরও পক্ষে। রাশিয়ার অভিযোগ সংঘাতে মদত দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুদ্ধজোট ন্যাটো।
পূর্ব ইউরোপে, বিশে করে রাশিয়াকে ঘিরতে ‘ন্যাটো’-র সম্প্রসারণ শুরু হয়েছে আমেরিকারই মদতে। রাশিয়া তীব্র আপত্তি তোলে ‘ন্যাটো’ যুদ্ধজোটে ইউক্রেনকে টেনে নেওয়ার বিরুদ্ধে। 
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বার বলেছেন যে ২০২৩-এ রাশিয়ার সেরা সাফল্য পূর্ব ইউরোপে ‘ন্যাটো’-কে ঠেকানো।

Comments :0

Login to leave a comment